Archive for June 8th, 2015

আওমোরিতে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

উত্তর-পূর্ব জাপানে সোমবার বিকেল ৩টা ১ মিনিটে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে কারো হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিলো আওমোরি প্রিফেকচারের হাচিনোহে’র ১৩২ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্বে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো মাটির ৮০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় আওমোরি ছাড়াও হোক্কাইদো, ইওয়াতে, মিয়াগি, আকিতা, ইয়ামাগাতা সহ উত্তর-পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে।

৩১ জুলাই থেকে ছিটমহল বিনিময়

আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ছিটমহল বিনিময়।  সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এরআগে গত ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রটোকল সই হয়। গত শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের সংশ্লিষ্টরা এই প্রটোকলে সই করেন। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন। এ সময় ওই চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যপদ্ধতি সম্বলিত পত্রও বিনিময় করা হয়। এর আগে ৬ মে  ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত বিলটি (১১৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী) পাস হয়। রাজ্যসভায় বিলটি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিলটি ৭ মে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়  পাস হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানান। দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতীয় ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে। ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকার কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসাবে ৬৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন। শুরু থেকে আপত্তি করে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও নানা চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল বাস্তবায়িত হলে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে আসবে শান্তি। ছিটমহলের বাসিন্দাদের গত সাত দশকের মানবিক সংকটের অবসান ঘটবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ হবে তাদের। একই সঙ্গে খুলবে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত। দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করাই এই স্থল সীমান্ত চুক্তির লক্ষ্য। সাড়ে ৬ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানা চিহ্নিত করা হবে। ছিটমহলগুলোর মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি (৭ হাজার ১১০ একর জমি) এবং বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি (১৭ হাজার ১৬০ একর) জমি বিনিময় হবে। অপদখলীয় জমির মধ্যে মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অধীন সীমান্তে ২০০০ একর জমি এবং আসামের ২৬৮ একর জমির অধিকারী হবে বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত সমস্যার সমন্বিত সমাধানে পৌঁছার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১৯৫৮ […]