Archive for June 21st, 2015

টোকিওতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

মায়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একদল বিক্ষোভকারী শনিবার টোকিওতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার ছিলো জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে জাপানে বাস করছেন। তারা দক্ষিণ-এশিয়াতে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান। অ‌্যাসোসিয়েশন অফ রোহিঙ্গা রেসিডেন্টস অফ জাপান’র প্রধান আন টিন বলেন, মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে এর জন্যে সহায়তা কামনা করেন। মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা সম্প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মানব পাচারের শিকার হয়ে এসব রোহিঙ্গারা সাগর পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করছে। থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়াতে প্রচুর রোহিঙ্গার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসে থাইল্যান্ডে সাগরে আটকে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো হয়। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ। তারা দাবি করে এরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী।

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে টাইগাররা

ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়। লক্ষ্য মাত্র ১৯৯ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট।  দরকার একশ’ রানেরও কম। তাই গ্যালারির দর্শকরা হৈ হুল্লোড় করতেই পারেন। কেননা তারা যে ইতিহাসের সাক্ষি হচ্ছেন। তামিম ১৩ ও সৌম্য ৩৪ রানে আউট হলেও সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় তিন ওভার কমিয়ে ৪৭ ওভারে খেলা নির্ধারণ করা হয়।  তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। বল হাতে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস কথা বলেছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পক্ষে। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ধোনি। তবে এটি যে ভুল সিদ্বান্ত ছিল, তার প্রমাণটা দিলেন আগের ম্যাচের হিরো মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শুন্য হাতে ওপেনার রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর। ফলে শুরুতেই চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে চালকের আসন থেকে সড়াতে তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়ে রান তোলায় মনোনিবেশ করেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্রুতই সেট হয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দু’জনে। ফলে কিছুটা লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। কিন্তু এতেও যে হাল ছেড়ে দেবার দল, এখন আর নয় বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় উইকেটে দলের জন্য ৭২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি ধাওয়ান-কোহলি। অকেশনাল বোলার দিয়েই ধাওয়ান-কোহলি জুটি ভাঙ্গেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ২৩ রান করে নাসিরের বলে আউট হন কোহলি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে উঠিয়ে এনে ধাওয়ানের সাথে ক্রিজে যোগ দেন দলপতি ধোনি। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়া। সে পথে ভালোই হাটচ্ছিলেন তারা। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন ধাওয়ান। এই জুটিও যখন ভংকর হবার পথে, আবারো বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দেন নাসির। ৭টি বাউন্ডারিতে ৬০ বলে ৫৩ রান করা ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নাসির। ধাওয়ানের বিদায়ের পরের ওভারেই আবারো উইকেট শিকারের আনন্দ করে বাংলাদেশ। আজিঙ্কা রাহানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া আম্বাতি রাইদুকে তিন বলের বেশি খেলতে দেননি রুবেল হোসেন। নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে তাই শুন্য হাতেই ফিরতে হয় রাইদুকে। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকঁতে থাকা ভারতকে এরপর সামনের দিকে টেনে নিয়ে নেন ধোনি ও সুরেশ রায়না। কিছুটা সময় নিয়ে উইকেটে ভালোভাবেই সেট হয়ে যান তারা। ফলে ধীপা হলেও স্কোর বোর্ডে রান আসছিলো ভারতের। তবে সেটি যে খুব বেশি না, তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন ধোনি ও রায়না। বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত-বৈচিত্র্যময়-অসম্ভব সুন্দর বোলিং কারিশমায় রান তোলা কি সম্ভব? উত্তরটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেয়ার আগেই বল হাতে দিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর। উত্তরটা হলো- ‘না’। ৩৬তম ওভারে বল করতে এসে ৪২ ওভার পর্যন্ত ভারতের চার ব্যাটসম্যানকে […]