Archive for June 23rd, 2015

জাপান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল

গত ২১ জুন ২০১৫ রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ আলচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই সংগ্রামী দলের গোড়াপত্তন হয়। “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ” নাম নিয়ে শুরু হলেও পরে “নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই দলটির প্রতীক নৌকা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক দলটির নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ”। সংগঠনের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আলচনা পর্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনের “রোজ গার্ডেন প্যালেস” এ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গীয় প্রদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পর্ব থেকে আজ অব্দি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলচনা করেন- মোতালেব শাহ আইয়ুব প্রিন্স, আব্দুল কুদ্দুস, রহমান লিটন, সোহেল রানা, ফারুক আহমেদ, গোলাম মাসুম, কাজী ইনসানুল হক, রায়হান কবির ভুঁইয়া সুমন, মুক্তা চৌধুরি, মোল্লা ওয়াহিদ, মাসুদুর রহমান, হারুনুর রশিদ, সনত বড়ুয়া। ইফতার ও নামাজের শেষে উপস্থিত প্রবাসীরা নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাতে সুস্বাদু নৈশ ভোজে সকলকে আপ্যায়িত করা হয়।

আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ

৯১ দিন এক অসহনীয় যন্ত্রণা আর ক্ষোভের আগুন বুকে নিয়ে অবিচারের প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন একাত্ম হওয়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আইসিসির চেয়ারম্যান ভারতের শ্রীনিবাশনের সহযোগিতায় আম্পায়ারদের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে হারিয়েছিল ভারত। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ মার্চ। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা বাংলাদেশ। মানুষের চোখের পানিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটির। সেদিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে একাত্ম হয়ে যান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বাংলাদেশের মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতার জন্য সবাই মিলে একাত্ম হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এই ক্রিকেট ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ একাত্ম হয়ে শুধু অপেক্ষায় ছিলেন ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচের প্রতিশোধ নেবার নেশায়। অবশেষে ৯১ দিনের মাথায় স্বপ্নপূরণ হল বাংলাদেশের মানুষের। মেলবোর্ন অবিচারের সমূচিত জবাব পেয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই টাইগারদের কাছে কুপোকাত তারা। জয়ের নয়, প্রতিশোধ নেয়ার আনন্দের জোয়ারেই এখন ভাসছে সারা বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি প্রাপ্তি ছিল প্রতিশোধের মাধ্যমে ৯১ দিন বুকে লালন করা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত হওয়া। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে একেবারে সহজেই উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে টাইগাররা শুধু ভারতকেই নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই জানিয়ে দিলো, বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখাটাই যে এখন ক্রিকেট ব্যাকরণের সবচেয়ে বড় ভুল। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয়ে আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশের মানুষ। এর আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তান দলকে হোয়াইট ওয়াশ করলেও ঐ দুটি দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন ছিল না বাংলাদেশের দর্শকদের মনে। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু ভারতকে ধরাশায়ী করার প্রত্যাশায়। পবিত্র রমজান মাস থাকায় ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে স্বভাবসুলভ উল্লাস প্রকাশ করতে না পারলেও ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। ঘরে বাইরে অফিস আদালতে সর্বত্রই একই আলোচনা বাংলাদেশের ভারত জয়। খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দর্শকরা খ- খ- আনন্দ মিছিল বের করে স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দর্শকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেছেন শুধু এক এবং অভিন্ন আওয়াজে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের রাতের আঁধারও আলোকিত হয়ে যায় উৎসবের আনন্দে। ঢাকার বাইরেও সারা দেশে চলে আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে এক হয়ে অতীতে আর কখনোই এভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের দর্শকদের মনে যে ভারত সম্পর্কে কতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের ক্ষুদে দর্শক অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টেন গ্রেডের ছাত্র লাবিব জোহায়ের হোসেনের মন্তব্যে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে লাবিব মন্তব্য করে, ‘ভবিষ্যতে যতবারই বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ হবে, তাতে যদি ভারত আম্পায়ারদেরকে ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়লাভ করাটা খুবই কঠিন হবে।’ উল্লেখ্য, লাবিব […]