Archive for June 29th, 2015

পবিত্র ওমরা পালনে যাচ্ছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে স্বৈরাচার : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানেই স্বৈরাচার বিদায় হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে শান্তি ও সম্মান ফিরে আসবে। গতকাল এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নির্বাসিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ আজ প্রতিনিয়ত গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ জন্য দায়ী বর্তমান জবর দখলকারী এই সরকার। তারা (সরকার) কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো কিছু নেই।সকল অপকর্মের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সকল পেশার মানুষ ও দেশবাসীর কাছে একটাই আমাদের আহবান থাকবে, আসুন এই রমজান মাসে প্রতিটি নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করব, ফরিয়াদ করব যাতে তিনি (আল্লাহতালা) এই জালেমদের দ্রুত বিদায় করেন। ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-ড্যাব এর উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-স্যার সলিমুল্লাহ-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-বগুড়াসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, চিকিৎসক এবং তিন হাজার চিকিৎসক অংশ নেন।যানজটের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন ইফতারের শুরুর মিনিট খানেক পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরপরই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা  চৌধুরী। ইফতার শেষে বেগম জিয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। প্রবীণ চিকিৎসক বি. চৌধুরী, অধ্যাপক এমএ মাজেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির খন্দকার মাহবুব হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের শওকত মাহমুদ, ড্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি  চেয়ারপারসন। এছাড়া শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বায়েস ভুঁইয়া, অধ্যাপক আবু আহমেদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, ইউনিভার্সিটি টিচার অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সাংবাদিক নেতা এম আজিজ, আব্দুুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।দখলবাজ ও চাঁদাবাজির জন্য ক্ষমতাসীনদের অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এমপি ও তার পরিবার এমনকি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মানুষের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। তাদের চাঁদাবাজির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাধারণ মানুষ আজ কীভাবে রোজা রাখে সেদিকে অবৈধ সরকারের কোনো নজর নেই। তারা বড় বড় মিথ্যা বুলি আওড়ায়। আর বড় বড় প্রকল্পের নামে সব টাকা কমিশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রশাসন ও বিচারবিভাগে দলীয়করণের অভিযোগও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।তিনি […]

চীনের উত্থান জাপানের কাছে অসহ্য লাগছেঃ চীন

জাপানের জনগন চীনের উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না আর আসলে সেটিই হচ্ছে দু’দের মধ্যেকার সম্পর্কোন্নয়নের পথে মূল বাধা -চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও টোকিওতে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত শনিবার এ কথা বলেন। সাইনো-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে চীন যা দেখতে পাচ্ছে তা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঔপনিবেশিকতার প্রায়শ্চিত্ত করতে ব্যর্থতা। জাপান ও চীন দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়ে সাম্প্রতিক দিন গুলোতে তিক্ত সম্পর্ক অতিবাহিত করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইই একটি শিক্ষা ফোরামে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন চীন চায় জাপানের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক। “কিন্তু প্রশ্ন ওঠে একটি বিষয়েই- জাপান কি তার বৃহত্তম প্রতিবেশী চীনের উন্নয়ন এবং উত্থানকে মেনে নিতে ও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে?” ওয়াং বলেন। “চীনের উন্নয়ন ইতিমধ্যেই জাপানকে অনেক সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক ভাবে আমার মনে হয় না জাপানের পক্ষ থেকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয় এটাই চীন ও জাপানের মধ্যেকার অনেক ইস্যুর মূল কারণ” তিনি বলেন। ওয়াং বলেন, এক ভালো জাপানি বন্ধু তাকে বলেছিলেন চীন এখন জাপানের অবস্থানে চলে গেছে যেই স্থানটি ঐতিহাসিক ভাবে জাপানের ছিলো “সুতারাং আমাদের জাপানিদেরকে এই বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিতে হবে”। গত বছর জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং’য়ের সাথে বৈঠকের পর দীর্ঘদিন পরে দু’দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। তবে এ বছর চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে যা দু’দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাকে পুনরায় নাড়া দিতে পারে।