Archive for June, 2015

টোকিওতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

মায়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একদল বিক্ষোভকারী শনিবার টোকিওতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার ছিলো জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে জাপানে বাস করছেন। তারা দক্ষিণ-এশিয়াতে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান। অ‌্যাসোসিয়েশন অফ রোহিঙ্গা রেসিডেন্টস অফ জাপান’র প্রধান আন টিন বলেন, মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে এর জন্যে সহায়তা কামনা করেন। মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা সম্প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মানব পাচারের শিকার হয়ে এসব রোহিঙ্গারা সাগর পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করছে। থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়াতে প্রচুর রোহিঙ্গার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসে থাইল্যান্ডে সাগরে আটকে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো হয়। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ। তারা দাবি করে এরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী।

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে টাইগাররা

ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়। লক্ষ্য মাত্র ১৯৯ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট।  দরকার একশ’ রানেরও কম। তাই গ্যালারির দর্শকরা হৈ হুল্লোড় করতেই পারেন। কেননা তারা যে ইতিহাসের সাক্ষি হচ্ছেন। তামিম ১৩ ও সৌম্য ৩৪ রানে আউট হলেও সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় তিন ওভার কমিয়ে ৪৭ ওভারে খেলা নির্ধারণ করা হয়।  তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। বল হাতে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস কথা বলেছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পক্ষে। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ধোনি। তবে এটি যে ভুল সিদ্বান্ত ছিল, তার প্রমাণটা দিলেন আগের ম্যাচের হিরো মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শুন্য হাতে ওপেনার রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর। ফলে শুরুতেই চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে চালকের আসন থেকে সড়াতে তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়ে রান তোলায় মনোনিবেশ করেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্রুতই সেট হয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দু’জনে। ফলে কিছুটা লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। কিন্তু এতেও যে হাল ছেড়ে দেবার দল, এখন আর নয় বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় উইকেটে দলের জন্য ৭২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি ধাওয়ান-কোহলি। অকেশনাল বোলার দিয়েই ধাওয়ান-কোহলি জুটি ভাঙ্গেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ২৩ রান করে নাসিরের বলে আউট হন কোহলি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে উঠিয়ে এনে ধাওয়ানের সাথে ক্রিজে যোগ দেন দলপতি ধোনি। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়া। সে পথে ভালোই হাটচ্ছিলেন তারা। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন ধাওয়ান। এই জুটিও যখন ভংকর হবার পথে, আবারো বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দেন নাসির। ৭টি বাউন্ডারিতে ৬০ বলে ৫৩ রান করা ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নাসির। ধাওয়ানের বিদায়ের পরের ওভারেই আবারো উইকেট শিকারের আনন্দ করে বাংলাদেশ। আজিঙ্কা রাহানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া আম্বাতি রাইদুকে তিন বলের বেশি খেলতে দেননি রুবেল হোসেন। নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে তাই শুন্য হাতেই ফিরতে হয় রাইদুকে। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকঁতে থাকা ভারতকে এরপর সামনের দিকে টেনে নিয়ে নেন ধোনি ও সুরেশ রায়না। কিছুটা সময় নিয়ে উইকেটে ভালোভাবেই সেট হয়ে যান তারা। ফলে ধীপা হলেও স্কোর বোর্ডে রান আসছিলো ভারতের। তবে সেটি যে খুব বেশি না, তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন ধোনি ও রায়না। বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত-বৈচিত্র্যময়-অসম্ভব সুন্দর বোলিং কারিশমায় রান তোলা কি সম্ভব? উত্তরটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেয়ার আগেই বল হাতে দিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর। উত্তরটা হলো- ‘না’। ৩৬তম ওভারে বল করতে এসে ৪২ ওভার পর্যন্ত ভারতের চার ব্যাটসম্যানকে […]

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে রোযার গুরুত্ব ও ফযীলত

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (তরজমা) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।-সূরা বাকারা (২) : ১৮৩ অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন- فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ (তরজমা) সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোযা রাখে।- সূরাবাকারা (২) : ১৮৫ হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فافطروا، فإن غم عليكم فصوموا ثلاثين، وفي رواية : صوموا لرؤيته وأفطروا لرويته، فإن عم عليكم فاكملوا العدد. যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদদেখবে, তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮০ (১৭-১৮) উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস এবং এ বিষয়ক অন্যান্য দলীলের আলোকে প্রমাণিত যে, রমযান মাসেররোযা রাখা ফরয, ইসলামের আবশ্যক বিধানরূপে রোযা পালন করা ও বিশ্বাস করাও ফরয। তাছাড়া কোনো শরয়ী ওযর ছাড়া কোন মুসলমান যদি রমযান মাসের একটি রোযাও ইচ্ছাকৃতভাবেপরিত্যাগ করে তাহলে সে বড় পাপী ও জঘন্য অপরাধীরূপে গণ্য হবে। দ্বীনের মৌলিক বিধানলঙ্ঘনকারী ও ঈমান-ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারী হিসেবে পরিগণিত হবে। হাদীস শরীফেইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ত্যাগকারী ও ভঙ্গকারীর জন্য কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু উমামা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, بينما أنا نائم أتاني رجلان فأخذا بضبعي فأتيابي جبلا وعرا فقالا : اصعد؛ فقلت : إني لا أطيقه. فقالا: سنسهله لك، فصعدت حتى إذا كنت في سواء الجبل إذا بأصوات شديدة، قلت : ما هذه الأصوات؟ قالوا هذا عواء أهل النار، ثم انطلق بي، فإذا أنا بقوم معلقين بعراقيبهم، مشققة اشداقهم، تسيل اشداقهم دما. قال : قلت : من هؤلاء : قال : الذين يفطرون قبل تحلة صومهم. رواه الحاكم فى المستدرك وقال : صحيح على شرط مسلم، ووافقه الذهبي، وذكره الهيثمى فى المجمع (240)، وقال : رجاله رجال الصحيح আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার নিকট দুই ব্যক্তি আগমন করল। তারা আমার বাহুদ্বয়ধরে আমাকে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে এল। তারপর আমাকে বলল, আপনি পাহাড়ের উপর উঠুন।আমি বললাম, আমি তো উঠতে পারব না। তারা বলল, আমরা আপনাকে সহজ করে দিব। আমিউপরে উঠলাম। যখন পাহাড়ের সমতলে পৌঁছালাম, হঠাৎ ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমিবললাম, এ সব কিসের আওয়াজ? তারা বলল, এটা জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারপর তারা আমাকেনিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদেরকে তাদের পায়ের মাংসপেশী দ্বারা ঝুলিয়েরাখা হয়েছে। এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিড়ে ফেলা হয়েছে এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমিবললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের সময় হওয়ার আগেই রোযা ভেঙ্গে ফেলে।-সহীহইবনে খুযাইমা, হাদীস : ১৯৮৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭৪৪৮; সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস: ৩২৮৬; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস-১৬০৯; তবারানী, হাদীস : ৭৬৬৬ রমযান মাসের একদিন রোযা না রাখলে মানুষ শুধু গুনাহগারই হয় না, ঐ রোযার পরিবর্তেআজীবন রোযা রাখলেও রমযানের এক রোযার যে মর্যাদা ও কল্যাণ, যে অনন্ত রহমত ও খায়ের-বরকত তা কখনো লাভ করতে পারবে না এবং কোনোভাবেই এর যথার্থ ক্ষতিপূরণ আদায় হবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, من افطر يوما من رمضان متعمدا من غير سفر ولا مرض لم يقضه ابدا، وان صام الدهر كله، … وقد ذكره البخاري تعليقا بصيغة الجزم حيث قال : وبه قال ابن مسعود، وقال الشيخ محمد عوامه : وهذا الحديث موقوف لفظا ومرفوع حكما যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে, সে আজীবনরোযা রাখলেও ঐ রোযার হক আদায় হবে না।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩;মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৭৬; সহীহ বুখারী ৪/১৬০ হযরত আলী রা. বলেন- من افطر يوما من رضمان متعمدا لم يقضه أبدا طول الدهر. যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযান মাসের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোযার(ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮ হাদীস শরীফে বর্ণিত রোযার কিছু ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য এখানে উল্লেখ করা হলো : ১. রোযার প্রতিদান আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজেই দিবেন এবং বিনা হিসাবে দিবেন প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাআমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোযার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোযার বিষয়ে আছেআল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এক অনন্য ঘোষণা। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة بعشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف، قال الله تعالى : الا الصوم فإنه لى وانا أجزى به يدع شهوته وطعامه من أجلى. মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণপর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোযা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবংআমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেএবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৫১ (১৬৪); মুসনাদে আহমদ, হাদীস :৯৭১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৮৯৮৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৬৩৮ অন্য বর্ণনায় আছে- عن أبى هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : قال الله : يترك طعامه وشرابه وشهوته من أجلى، الصيام لى وانا اجزى به، والحسنة بعشر امثالها. হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহরাববুল আলামীন বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে, রোযাআমার জন্যই, আমি নিজেই তার পুরস্কার দিব আর (অন্যান্য) নেক আমলের বিনিময় হচ্ছে তারদশগুণ।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৮৯৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৯৯৯৯; মুয়াত্তা মালেক ১/৩১০ রোযা বিষয়ে-অন্য বর্ণনায়-আললাহ তাআলা বলেন, ‘‘প্রত্যেক ইবাদতই ইবাদতকারী ব্যক্তির জন্য,পক্ষান্তরে রোযা আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। (সহীহ বুখারী হাদীস-১৯০৪) এ কথার তাৎপর্য হল, যদিও প্রকৃতপক্ষে সকল ইবাদতই আল্লাহর জন্য, তার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভেরউদ্দেশ্যেই হয়ে থাকে। তবুও রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। তা হল-অন্যান্য সকল ইবাদতের কাঠামোগত ক্রিয়াকলাপ, আকার-আকৃতি ও নিয়ম পদ্ধতি এমন যে, তাতেআল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ছাড়াও ইবাদতকারীর নফসের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান থাকে।মুখে প্রকাশ না করলেও অনেক সময় তার অন্তরে রিয়া তথা লোক দেখানো ভাব সৃষ্টি হতে পারে।তার অনুভূতির অন্তরালে এ ধরনের ভাব লুকিয়ে থাকে। তা সে অনুভব করতে না পারলেও তারভিতরে অবচেতনভাবে বিদ্যমান থাকে। ফলে সেখানে নফসের প্রভাব এসে যায়। পক্ষান্তরে রোযাএমন এক পদ্ধতিগত ইবাদত, তার-আকার-আকৃতি এরূপ যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যব্যতীত ইবাদতকারীর নফসের স্বাদ গ্রহণের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। রোযাদার ব্যক্তি নিজ মুখেরোযার বিষয়টি প্রকাশ না করলে সাধারণত তা আলেমুল গায়েব আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারোনিকট প্রকাশিত হওয়ার মত নয়। তাই রোযার ক্ষেত্রে মাওলার সন্তুষ্টির বিষয়টি একনিষ্ঠভাবেপ্রতিভাত হয়। একারণেই রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের মাঝে এরূপ বিস্তর ব্যবধান। রোযার এত বড় ফযীলতের কারণ এটাও হতে পারে যে, রোযা ধৈর্য্যের ফলস্বরূপ। আরধৈর্য্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার সুসংবাদ হল- إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ধৈর্য্যধারণকারীগণই অগণিত সওয়াবের অধিকারী হবে।-সূরা যুমার (৩৯) : ১০ সব মাখলুকের স্রষ্টা, বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, আল্লাহ তাআলা নিজেই যখন এর পুরস্কার দিবেন,তখন কী পরিমাণ দিবেন? ইমাম আওযায়ী রাহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন- আল্লাহ যেরোযাদারকে প্রতিদান দিবেন, তা মাপা হবে না, ওজন করা হবে না অর্থাৎ বিনা হিসাবেই দিবেন। ২. আল্লাহ তাআলা রোযাদারকে কেয়ামতের দিন পানি পান করাবেন হযরত আবু মুসা রা. হতে বর্ণিত, ان الله تبارك وتعالى قضى على نفسه أنه من اعطش نفسه له في صائف سقاه يوم العطش، رواه البزار، وذكره الهيثمي في المجمع (5095)، وقال : رواه البزار، ورجاله موثقون. وقال المنذري في الترغيب (1478)، : إسناده حسن، ان شاء الله. আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জণ্যগ্রীষ্মকালে (রোযার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পানকরাবেন।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১০৩৯; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫০৯৫ হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, قال الله تعالى : الصيام لى وانا اجزى به … فان لهم يوم القيامة حوضا ما يرده غير الصائم، رواه البزار وذكره الهيثمي في المجمع، (5093)، وقال : رواه البزار، ورجاله موثقون. আল্লাহ তাআলা বলেন, রোযা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। কেয়ামতের দিনরোযাদারদের জন্য একটি বিশেষ পানির হাউজ থাকবে, যেখানে রোযাদার ব্যতীত অন্য কারোআগমন ঘটবে না।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ৮১১৫;  মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫০৯৩ ৩. রোযা হল জান্নাত লাভের পথ عن حذيفة رضي الله عنه  قال : اسندت النبي صلى الله عليه وسلم إلى صدري، فقال : من قال : لا إله إلا الله ختم له بها دخل الجنة، ومن صام يوما ابتغاء وجه الله […]

পবিত্র রমজানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বুধবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রমজান উপলক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন তার বাণীতে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নিজেদের বিশ্বাসের ভিতকে শক্ত করতে এই সময় ব্রিটেন এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে পরিবার-পরিজন একত্রিত হয় সংযমে এবং একাগ্রতায়। এটি আমাদের কমিউনিটি, পরিবার এবং ইসলামী এবং ব্রিটিশ মূল্যবোধগুলিকে মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন,আমি প্রত্যাশা করি তারা সবাই এবং ব্রিটেনের সব মানুষ- রমজানের সার্বজনীন মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাবে এবং এই দেশ গড়ে তোলায় ব্রিটিশ মুসলমানদের অবদানকে স্বীকৃতি দেবে। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।  

মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপরণের পর হত্যা এবং ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবীসহ গণহত্যার ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ওই দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিল বিচারিক আদালত। একই রায় এসেছিল সপ্তম অভিযোগে, ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে হত্যা-নিযার্তনের ঘটনায়। আপিল বিভাগের রায়ে প্রথম অভিযোগে আসামির আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সপ্তাম অভিযোগে তার সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। পঞ্চম অভিযোগে সুরকার আলতাফ মাহমুদ, গেরিলা যোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফি ইমাম রুমি, বদিউজ্জামান, আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদসহ কয়েকজনকে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে আটকে রেখে নির্যাতন এবং জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদকে দেয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আপিল বিভাগের রায়ে সেই সাজাই বহাল রাখা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তৃতীয় অভিযোগে ফরিদপুর শহরের খাবাসপুরের রণজিৎ নাথকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মুজাহিদকে। ওই সাজা তার প্রাপ্য বলে আপিল বিভাগও মনে করেছে। এছাড়া দ্বিতীয় অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হিন্দু গ্রামে গণহত্যা এবং চতুর্থ অভিযোগে আলফাডাঙ্গার আবু ইউসুফ ওরফে পাখিকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও তাতে মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে খালাস দিয়েছিল। এ কারণে এ দুটি অভিযোগ আপিল বিভাগের রায়ে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে  মুজাহিদ হলেন চতুর্থ ব্যক্তি, আপিল বিভাগে যার মামলার নিষ্পত্তি হল।

প্রধানমন্ত্রীকে ইফতারের দাওয়াত দিলেন খালেদা জিয়া

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইফতারের দাওয়াত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে রাজনীতিবিদদের সম্মানে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করীম শাহিন। আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সাংসদ মৃণাল কান্তি ও সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল মজিদ কার্ডটি গ্রহণ করেন।  

শেখ হাসিনার পড়তি ইমেজ ঠেকাতে গিয়েছিলেন মোদী: কুলদিপ নায়ার

 ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাবেক কূটনীতিক কুলদিপ নায়ার। ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় তিনি বিশ্লেষণ করেছেন নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর। তিনি লিখেছেন, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরটি হয়েছে অসময়ে। দেখে মনে হয়েছিল, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পড়তি ইমেজ ঠেকাতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। তিনি সেখানে কেবল ভারত-বিরোধী অনুভূতিকেই আরও তীব্রতর করে তুলেছেন। কেননা, নয়া দিল্লিকে নিরপেক্ষ হিসেবে মনে হয়নি।কুলদিপ নায়ার লিখেছেন:আমি জানি না কেন, এবং কতদিন ধরে আমাদেরকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনকে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। এটা সত্য যে, তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। শেখ মুজিব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করেছেন। কিন্তু এ পরিচয়ের কারণেই হাসিনা সংবিধান ও প্রচলিত নিয়মনীতিকে অবজ্ঞা করার অধিকার পেতে পারেন না। একটি উদাহরণ দেখুন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক হারে বাক্সে ব্যালট পেপার ঢোকানো হয়েছে। ভোটার ও অন্যান্যদের কাছে চিত্রটি ভয়াবহ হয়ে ধরা দেয়। শেখ মুজিব নিশ্চিতভাবে তার কবরে ঘুমিয়ে পড়ছেন। তিনি রাওয়ালপিন্ডির সামরিক জান্তা শাসকদের বিরুদ্ধে মানুষের আত্মপ্রকাশের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ক্রমবর্ধমান মৌলবাদী প্রভাবের বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষ অক্ষকে শক্তি জুগিয়েছে ঢাকায় মোদীর সফর। কিন্তু হাসিনা এরপরও নিজের জন্য কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করতেনই। প্রকৃতপক্ষে, যে দাম্ভিক উপায়ে নিজের চারপাশের ভিন্নমত তিনি দমন করেছেন, তাতে তার ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে সন্দেহ জন্মে। মুক্ত রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক পথে শাসনের প্রতি কি তার কখনই দৃঢ় আস্থা ছিল? এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে, তিনি যে উপায়ে বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেনকে অপদস্থ করেছেন, সেটি। কামাল হোসেন তার বাবা শেখ মুজিবের একজন সহকর্মী। সারাজীবন ধরে নীতি আঁকড়ে থাকার কারণে তিনি একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করাটা ছিল একটি হঠকারী কাজ। তবে এটিও সত্য যে, হাসিনা এটি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি যেকোনো কিছু করতে পারেন। তারপরও, বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করতো, তাহলে এর সামান্য কয়েকজন প্রার্থী হলেও জিতে আসতো। এর ফলে মানুষের সামনে হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা তারা করতে পারতো।নিঃসন্দেহে, সাধারণ নির্বাচন শাসকদের ভাগ্য নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, এর মাধ্যমে যাচাই করা যেত, নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যেসব প্রতিশ্রুতি শাসক দল দিয়েছে, তা তারা পূরণ করতে পেরেছে কিনা। ভারত অনেক ভাগ্যবান। কারণ, যেভাবে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দেশকে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ করে গেছেন, তা এখনও কায়মনোবাক্যে অনুসরণ করা হয়। কিন্তু তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী গণতন্ত্রকে কক্ষচ্যুত করেছিলেন। তিনি কেবলমাত্র গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই করেননি, অনেক মৌলিক অধিকারকেও বাতিল করেছিলেন। কিন্তু মানুষ বিষয়গুলোকে ভালোভাবে নেয়নি। নির্বাচনে মানুষ নিজেদের দমিত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল। এটা অভাবনীয় ছিল যে, এমনকি মহান ইন্দিরা গান্ধীও পরাজিত হতে […]

কৈ ভয়ংকর মাছ!

কৈ মাছ খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পাওয়া কঠিন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে একেবারেই অপরিচিত কৈ মাছ। সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ায় কৈ মাছ চাষের প্রকল্প হাতে নেয়া হলে সেখানকার বিশেষজ্ঞরা কৈ চাষের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, কৈ মাছ খুবই ভয়ঙ্কর একটি মাছ। কৈ মাছের কারণে বিপন্ন হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু প্রজাতির প্রাণী। তাদের যুক্তি—কৈ মাছ বিশেষ পদ্ধতিতে জল-স্থল উভয় জায়গাতেই বেঁচে থাকতে পারে। খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারে মাটির উপর দিয়ে। মাটির উপর দিয়ে চলার সময় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের  ওপর হামলা করতে পারে কৈ মাছ। এছাড়া কোন প্রাণী ভুল করে কৈ মাছ খেতে গেলেও গলায় আটকে মারা যেতে পারে সেটি। কারণ কৈ মাছের শরীরের দুই পাশেই রয়েছে ধারালো পাখনা।-

সূর্যের মালিকানা দাবি, মামলা

জ্বলন্ত নক্ষত্র সূর্যে পৌঁছানোর কথা এখনো পর্যন্ত কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। অথচ সেই সূর্যের একাংশের মালিকানা দাবি করেই সূর্যে প্লট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন স্প্যানিশ নারী মারিয়া ডুরান। তবে ই-কমার্স জায়ান্ট ই-বে বিজ্ঞাপনটি তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করলে বেঁকে বসেন ঐ নারী। রীতিমতো মামলা ঠুকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। দেশটির গ্যালিসিয়ার বাসিন্দা ডুরান সূর্যে জমির মালিকানার বৈধতা দাবিতে দেশের এক নোটারি অফিসে সূর্যের একাংশ নিজের নামে লিখে নিয়েছিলেন। এরপরই তিনি ইন্টারনেটভিত্তিক বিপণন প্রতিষ্ঠান ই-বে তে বিজ্ঞাপন দেন সূর্যে জমি বিক্রির। দুই বছর বিজ্ঞাপনটি ওয়েবসাইটে ছিলো। এই দুই বছরে প্রতি বর্গমিটার দুই ইউরো মূলে মোট ১২০০ ইউরো আয় করেন তিনি। তবে ই-বে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এরপর ১০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন মারিয়া।

আওমোরিতে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

উত্তর-পূর্ব জাপানে সোমবার বিকেল ৩টা ১ মিনিটে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে কারো হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিলো আওমোরি প্রিফেকচারের হাচিনোহে’র ১৩২ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্বে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো মাটির ৮০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় আওমোরি ছাড়াও হোক্কাইদো, ইওয়াতে, মিয়াগি, আকিতা, ইয়ামাগাতা সহ উত্তর-পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে।