Archive for June, 2015

৩১ জুলাই থেকে ছিটমহল বিনিময়

আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ছিটমহল বিনিময়।  সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এরআগে গত ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রটোকল সই হয়। গত শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের সংশ্লিষ্টরা এই প্রটোকলে সই করেন। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন। এ সময় ওই চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যপদ্ধতি সম্বলিত পত্রও বিনিময় করা হয়। এর আগে ৬ মে  ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত বিলটি (১১৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী) পাস হয়। রাজ্যসভায় বিলটি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিলটি ৭ মে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়  পাস হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানান। দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতীয় ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে। ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকার কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসাবে ৬৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন। শুরু থেকে আপত্তি করে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও নানা চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল বাস্তবায়িত হলে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে আসবে শান্তি। ছিটমহলের বাসিন্দাদের গত সাত দশকের মানবিক সংকটের অবসান ঘটবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ হবে তাদের। একই সঙ্গে খুলবে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত। দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করাই এই স্থল সীমান্ত চুক্তির লক্ষ্য। সাড়ে ৬ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানা চিহ্নিত করা হবে। ছিটমহলগুলোর মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি (৭ হাজার ১১০ একর জমি) এবং বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি (১৭ হাজার ১৬০ একর) জমি বিনিময় হবে। অপদখলীয় জমির মধ্যে মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অধীন সীমান্তে ২০০০ একর জমি এবং আসামের ২৬৮ একর জমির অধিকারী হবে বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত সমস্যার সমন্বিত সমাধানে পৌঁছার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১৯৫৮ […]

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে রমাযানুল মুবারক

হিজরীবর্ষের নবম মাসটির নাম রমাযানুল মুবারক। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মাস আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার এবং তাযকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ভরা বসন্ত। মুমিন বান্দার জন্য রমযান মাস আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। তিনি এই মাসের প্রতিটি দিবস-রজনীতে দান করেছেন মুষলধারা বৃষ্টির মত অশেষ খায়ের-বরকত এবং অফুরন্ত কল্যাণ। মুমিনের কর্তব্য, এই মহা নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত হওয়া। ইরশাদ হয়েছে- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (তরজমা) (হে নবী) আপনি বলুন! এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর রহমতেই হয়েছে। সুতরাং এতে তারা যেন আনন্দিত হয়। তারা যা কিছু সঞ্চয় করে, এটা তার চেয়ে উত্তম।-সূরা ইউনুস (১০)-৫৮ এ মাসে বান্দা পার্থিব সকল চাহিদা বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর দয়া ও রহমত লাভ করবে, অতীতের সকল পাপাচার থেকে ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে ঈমানী জিন্দেগীর উত্তাপ গ্রহণ করবে, তাকওয়ার অনুশীলনের মাধ্যমে পুরো বছরের ইবাদত ও ইতাআতের শক্তি সঞ্চয় করবে, চিন্তা-চেতনা ও কর্ম-সাধনায় আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সমর্পিত করবে-এই হচ্ছে মুমিনের আনন্দ। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র মাসকে যেসব গুণ ও মর্যাদা দ্বারা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন, যত রহমত, বরকত এবং দয়া ও অনুগ্রহ দ্বারা একে মহিমান্বিত করেছেন, এ মাসের নেক আমলগুলোর যত সওয়াব ও প্রতিদান নির্ধারিত করেছেন তার হিসাব-নিকাশ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে এবং হাদীস শরীফের বিস্তৃত বর্ণনায় যে গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট বর্ণিত হয়েছে, তার কিছু দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করব। আল্লাহ তাআলা সবাইকে উপকৃত করুন। আমীন। ১. সিয়ামওকিয়ামেরমাস মুসলিম উম্মাহর নিকট রমযান মাসের আগমন ঘটে প্রধানত রোযা ও তারাবীহ’র বার্তা নিয়ে। এটি রমযান মাসের বিশেষ আমল। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য, পূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে এ দুই বিষয়ে যত্নবান হওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী (মুত্তাকী) হতে পার।-সূরা বাকারা (২) ১৮৩- অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন, فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমযান) পাবে, সে যেন অবশ্যই তার রোযা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে।-সূরা বাকারা-১৮৫ হযরত আবু হুরায়রা রা বলেন, لما حضر رمضان، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : قد جاءكم رمضان، شهر مبارك، افترض الله عليكم صيامه، تفتح فيه أبواب الجنة، وتغلق فيه أبواب الجحيم، وتغل فيه الشياطين، فيه […]

জুনিয়ার হাই স্কুল থেকে বাধ্যতামূলক ইংরেজি শিক্ষা চালু করা হচ্ছে

জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে হাই স্কুল শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে জাপানের জুনিয়ার হাই স্কুল গুলোতে বাধ্যতামূলক ভাবে ইংরেজির দক্ষতা পরীক্ষা চালু করা হবে। বর্তমানে কৌশলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজির দক্ষতা বাড়ছে খুবই ধীর গতিতে, মন্ত্রণালয় মনে করছে এখন নতুন করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। মন্ত্রণালয় এ জন্যে নতুন পরীক্ষা গ্রহণকে অপরিহার্য বলে ধারণা করছে। এ ছাড়াও মন্ত্রণালয় প্রিফেকচারাল শিক্ষা বোর্ড গুলোকে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য সামনে রেখে তাদের নিজস্ব কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য প্রিফেকচার এবং স্থানীয় প্রতিযোগীতায় প্রকাশ করা হবে। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় পড়া, লেখা, শোনা এবং কথা বলা মূল্যায়ন করার উপযোগী করা হবে। সেই সাথে শিক্ষকদেরকেও ইংরেজি ভালো মতো শিক্ষা দেয়ার উপযোগী করে তুলতে সহায়তা করা হবে।

প্রবীণদের টোকিও থেকে সরিয়ে নিতে উৎসাহ করার পরিকল্পনা

জাপানের একটি বেসরকারি থিঙ্কট্যাঙ্ক টোকিও মেট্রোপলিটান এলাকা থেকে প্রবীণ জনগনকে সরিয়ে নেয়ায় উৎসাহিত করতে বৃহস্পতিবার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজধানী টোকিও’তে প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সীমিত মেডিকেল ও নার্সিং সেবা খাতকে ক্রমাবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জাপান সরকার রাজধানী টোকিও, চিবা, কানাগাওয়া, সাইতামা’র মতো স্থান গুলোতে প্রচুর প্রবীণ জনসাধারণ বসবাস করার চেয়ে তাদেরকে গ্রামাঞ্চলে সরিয়ে নেয়াকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনার মাঝেই জাপান পলিসি কাউন্সিল তাদের এই সুপারিশ করলো। “সম্ভাব্য ভূমিকম্প জনবহুল এই অঞ্চলে বড় ধরণের ঝুঁকি বহন করছে, সেই সাথে প্রবীণরাও ঝুঁকির সৃষ্টি করছেন” সাবেক আভ্যন্তরিন এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিরোইয়া মাসুদা বলেন। মাসুদা এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রধান।