Archive for July, 2015

বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ

রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস; এই মাস মেঘমালার মতো আল্লাহর বান্দাদেরকে শীতল ছায়া দান করছিল; মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াত, যা মূলত মুমিনের উদ্দেশ্যে রাহমানুর রাহীমের আহবান, হৃদয় ও মস্তিষ্কে আলো দান করছিল; যিকির ও দুআ এবং তেলাওয়াত ও তাহাজ্জুদ, অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত করছিল এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি ঘটল; যেন ইবাদতের এই বিশেষ রোখ পরিবর্তিত হল এবং পয়লা শাওয়ালে রোযার পরিবর্তে ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্যে এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক নসীব হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দুই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত, রমযান ও ঈদ থেকে তিনি কী আহরণ করলেন এবং এর কী প্রভাব তার হৃদয় ও মস্তিস্কে, বোধ ও বিশ্বাসে এবং কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল। রমযান থেকে তিনি কী পেলেন এবং রমযানের বিদায়ে কী খায়ের-বরকত হারালেন। এটা বাস্তব সত্য যে, রমযানের হক যিনি যত বেশি আদায় করেছেন, রমযানের আদবসমূহের প্রন্তুি যিনি যত বেশি যত্নবান থেকেছেন তিনি তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব তত বেশি অনুভব করবেন। পক্ষান্তরে যিনি যেমন ত্রুটি করেছেন ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবেন। আমরা যদি রোযা ও রমযানের পুরা হক আদায় করে থাকি তাহলে রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া; যা বান্দাকে প্রতি মুহূর্তে পথনির্দেশ দান করে; বান্দাকে কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি বিরূপ করে। তাকওয়াপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে। আর যদি রমযানের পুরা হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই। কেননা প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে; আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা লালন করা যায় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা যায় তাহলে এই বৈশিষ্ট্য দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর এবং উজ্ঝল থেকে উজ্ঝলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির বিষয়ে এ কথা আরো বেশি সত্য। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে ইরশাদ করেছেন, ‘‘বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে আমিও […]

ছাড়া পেলেন টয়োটার সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প

টোকিওর প্রসিকিউটররা টয়োটা মোটর’র সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছিলো তিনি অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ ড্রাগ আমদানি করেছেন। গ্রেপ্তার করার প্রায় ৩ সপ্তাহ পর বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়। জুনের ১৮ তারিখ আন্তর্জাতিক ডাকের মাধ্যমে ৫৭টি বড়ি চোরাচালান করার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীরা বলছেন বড়ি গুলোতে অক্সিকোডোন নামের এক ধরনের মাদক ছিলো। টোকিওর প্রসিকিউটররা হ্যাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে তিনি সেগুলো আনেননি কারণ তিনি হাঁটুর ব্যাথার জন্যে বড়ি গুলো কিনেছিলেন। এক সপ্তাহ আগে টয়োটা হ্যাম্পের পদত্যাগের কথা জানায়। ৫৫ বছর বয়সী আমেরিকান ছিলেন টয়োটার প্রথম মহিলা ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।

সাকিবের ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ দল

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্পটলাইটটা এখন সৌম্য সরকারের দিকে। বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংয়ে তার আগ্রাসী মেজাজটাই বাংলাদেশের চেহারা দিয়েছে বদলে। ১৩টি ওয়ানডে ইনিংসে গড়টাও তার ঈর্ষণীয়, ৪০.৫৮। অথচ, ওয়ানডের আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ২টি টি-২০তে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। রাবাদার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে গত পরশু করেছেন মারাত্মক ভুল। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে অপরিনামদর্র্শী শটে শুধু নিজেই আউট হননি, তার ওই আউটেই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ. আফ্রিকার কাছে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে (৫২ রানে) হেরে যাওয়ায় অপরাধবোধে তাড়িত এই বাঁহাতি ওপেনারÑ ‘সবাই বুঝছে, আমিও বুঝছি, আমার জন্য একটু খারাপই হচ্ছে। আমি থিতু হয়ে আউট হচ্ছি, এটা আমার চেয়ে দলের জন্যই বেশি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করছি।’  প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ দল, তার জন্য অনুতপ্ত এই টপ অর্ডারÑ ‘সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরিকল্পনা ছিল, প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রান করে রাখলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়েই চেজ করতে নেমেছিলাম। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়েছি। শুরুতে এই ধাক্কা খাওয়ার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ফিল্ডিং, বোলিংয়ে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ব্যাটিং করতে পারলে হয়তোবা ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারতো।’ ১৪৯ রান চেজ করতে নেমে প্রোটিয়া অফ স্পিনার ডুমিনি এবং বাঁ হাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো কেন ভয়ংকর হয়ে উঠবে? নিজেদের চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে নিজেরাই উল্টো ফাঁদে পড়বে? এ প্রশ্ন সৌম্যর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝপথে উইকেটে বাড়তি টার্ন পাওয়ায় পরিস্থিতিটা বদলে গেছে বলে মনে করছেন সৌম্যÑ ‘শুরুতে কিন্তু উইকেটে ততটা টার্ন ছিল না। যখন মুশফিক ভাই আউট হয়ে গেছে বা আমাদের একটু বেশি উইকেট পড়ে গেছে তখন আমরা পিছিয়ে গেছি। ঐ সময়ে উইকেটে একটু টার্ন বেশি ছিল। ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকলে আর কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে থাকলে এটা হতে পারে। ’ টি-২০তে টপ অর্ডারদের ভূমিকা একটু বেশি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তা উপলব্ধি করছেন সৌম্যÑ ‘সাকিব ভাই শেষ করে এলে বা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কেউ একজন শেষ করে আসতে পারলে ভালো হতো। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা যদি বড় জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা হাতে নেয়া সহজ হতো।’ টি-২০তে বাংলাদেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার সাকিব। তবে আইপিএল, বিগ ব্যাশ এবং সিপিএল’র পারফর্মার সাকিবের উপর বাংলাদেশ দল এখন নির্ভরশীল, তা মানতে নারাজ সৌম্যÑ ‘টি-২০তে সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব জায়গাতেই খেলেন। তবে আমরা উনার ওপরই নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়। এখন সবাই পারফর্ম করছে বলেই আমাদের ফল ভালো হচ্ছে। উনি ভালো […]

ইউনেস্কো হ্যারিটেজ মর্যাদা পেলো মেইজি শিল্প বিপ্লব সাইট

ইউনেস্কো’র একটি প্যানেল কয়েকটি শিল্প এলাকার সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি শিল্প সাইটের গ্রুপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। রোববার জার্মান শহর বন এ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৮টি প্রিফেকচারের ২৩টি সাইটকে এর ভেতর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব সাইট গুলো জাপানের শিল্প বিপ্লবের গোড়ার দিককার স্থান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে মেইজি সময়ে জাপানের যে শিল্পয়োন্নয়্ন ঘটে এসব স্থান গুলো সেগুলোর সাক্ষী বহন করে চলেছে। প্যানেল স্বীকার করে সাইট গুলো একটি অ-পশ্চিমা দেশে পশ্চিম থেকে শিল্পায়নের প্রথম সফল বিস্তার। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমন্বয় জটিল হয়ে ওঠায় চুড়ান্ত আলোচনা রোববার পর্যন্ত একদিনের জন্য স্থগিত করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা দাবি করেন কোরিয়ানদেরকে এসব সাইট গুলোকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আনা হয়েছিলো। দক্ষিণ কোরিয় সরকারের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদেরকে বলেন প্যানেলের চুড়ান্ত বৈঠকে তারা জাপানের সাথে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

হাশিমাঃ পরিত্যাক্ত এক দ্বীপের কথা

দক্ষিণ জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যাক্ত দ্বীপ হাশিমা যা গুনকানজিমা (রণতরী দ্বীপ) নামেই পরিচিত -শিল্পন্নোত জাপানের ইতিহাস যেন সে তুলে ধরছে। দ্বীপটি এখন নাগাসাকি প্রিফেকচারের ৫০৫টি বসতিহীন দ্বীপের একটি। দ্বীপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিত্যাক্ত এবং নির্বিঘ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কংক্রিট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গুলো ও তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্র প্রাচীর। দ্বীপটি সমুদ্রতলদেশীয় কয়লা খনির জন্যে এক সময় সুপরিচিত ছিলো, ১৮৮৭ সালে কয়লা খনির কাজ শুরু হয় -যা জাপানের শিল্পায়নের সময় পরিচালিত হতো। ১৯৫৯ সালে ৬.৩ হেক্টর (১৬ একর) দ্বীপটির জনসংখ্যা শিখরে ওঠে, এ সময় জনংখ্যা ছিলো ৫,২৫৯ জন। কয়লা খনিটি ১৯৭৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার অল্প পরেই দ্বীপবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক গুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে বাইরের ধসে পড়া দেয়ালের কোনো কোনো অংশকে আবার মেরামত করা হয়েছে। কিছু মানুষের আগ্রহে চলতি শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসে এবং ধীরে ধীরে তা পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যটকদের জন্যে দ্বীপটি খুলে দেয়া হয়। এখন দ্বীপটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার জন্যে ইউনেস্কোর বিবেচনায় রয়েছে। ১৮৮৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কয়লা খনি থাকাকালীন দ্বীপটিতে মানববসতি ছিলো। দ্বীপটির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন ছিলো নাগাসাকির শহরের। জাপানের শিল্পোন্নয়নের সময় কয়লা খনির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিশি দ্বীপটি কিনে নেয় এবং তার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের সমুদ্রতলদেশীয় খনি থেকে কয়লা আহরণের পরিকল্পনা ছিলো। খনির জন্যে শ্রমিক আনা হয় জাপানি উপনিবেশ গুলো থেকে। সেখানেই জাপানের সর্বপ্রথম সুউচ্চ কংক্রিট অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, উচ্চতা ছিলো ৯তলা। এটি নির্মিত হয় ১৯১৬ সালে। কোম্পানির কর্মীরা এখানে থাকতেন। তাইফুন থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু প্রাচীর। ১৯৩০ এর দশকে অনেক চীনা ও কোরিয়ানকে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে এখানে আনা হয়েছিলো। ১৯৬০ এর দশকে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে জাপান থেকে কয়লার ব্যবহার কমতে থাকে। হাশিমা’রও একই অবস্থা। মিৎসুবিশি ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়লা খনি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, আজকে দ্বীপটি জনশূন্য। ৩৫ বছর পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল আবার তাতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়।

বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছে ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেরা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়। শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলায় এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ দেয়া একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাইগাররা সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে। তাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। সেটা টাইগাররা ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যারাই বাংলাদেশ সফরে আসবে তাদের হিসাব করে খেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। এখন আমরা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আর নিম্নে থাকবে না। ঊর্ধ্বে থাকবে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেদের আরও আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে হবে, যাতে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়। তবে এ কথা বলে আমি খেলোয়াড়দের চাপে ফেলতে চাই না। খেলার মাঠে নিজেদের মধ্যে কোনো রকম চাপ রাখা যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। একটু খারাপ খেললেই পত্র-পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করে। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করে আসছি। খেলায় হার-জিত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, খেলার মাঠে কত ভালো নৈপুণ্য দেখানো যায়, কতটা ভালো খেলা উপহার দেয়া যায় সেটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম ও যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে, এটি মনে রাখতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ এই আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা দিয়েছে, তার জন্য আমরা গর্বিত। দেশে আরো উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। একটি হবে কক্সবাজারে, আরেকটি পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স করব আমরা, সে মাস্টারপ্লান করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এসবের বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা আর আর্থিকভাবে দুর্বল নই। শুধু ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার পর ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ […]

গ্রীষ্মে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাচ্ছেন

এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্যটনে যাচ্ছেন। বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ জাপানে ও জাপানের বাইরে পর্যটনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন সংস্থা জেটিবি বলেছে জুলাইয়ের ১৫ থেকে অগাষ্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ০.১ শতাংশ। জেটিবি’র তথ্যানুসারে ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ জাপানের ভেতরেই থাকছেন -যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে ০.২ শতাংশ। মানুষের সবচেয়ে পছন্দের স্থান হচ্ছে হোকুরিকু অঞ্চল। এ বছর সেখানে নতুন শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের লাইনও চালু হয়েছে। এ ছাড়াও শীর্ষে রয়েছে ইসে-শিমা আগামী বছর যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে বিদেশে পর্যটনে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এবার ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষে, এর মূল কারণ দুর্বল ইয়েন।

ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ

সময় ও সাফল্য মানুষকে কতোটা বদলে দিতে পারে তার একটা দারুণ উদাহরণ হলেন বাংলাদেশ কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। প্রথম যখন এক বছর আগে ঢাকায় এলেন মুখে মাপা হাসি, কাটা কাটা কথা। প্রশ্ন শুনলেই বোঝার চেষ্টা করতেন, আক্রমণ হচ্ছে কি না। সেই হাতুরুসিংহে এখন সংবাদ সম্মেলনে এসে সমানে রসিকতা করেন, চাপা হাসি হাসেন আর বারবার বলে দেন, সময়টা এখন তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান দেখালেন। নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন। তবে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড আর ইতিহাসের প্রশ্ন আসতেই চোয়ালটা শক্ত করে ফেললেন, মুখ গম্ভীর করে বললেন, তিনি ইতিহাস বদলাতে এসেছেন; ইতিহাসের স্রোতে গা ভাসাতে আসেননি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ যাবত্ বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন সেই ২০০৭ বিশ্বকাপের একটি জয়। উড়ন্ত ফর্মে সেই দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতুরুসিংহে পরিষ্কার বলে দিলেন নিজের এই দর্শনের কথা, ‘আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না। আমি তাহলে জিততেই পারতাম না। আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি না। ইতিহাস ব্যাপারটাই তৈরি হয়েছে বদলানোর জন্য। আমরা সেটা কীভাবে করবো, সেটা হলো বিষয়। আমরা ইতিহাসের অংশ হতে চাই না, আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। আমরা অতীতে বাস করি না, আমরা বর্তমানে বাস করি।’ সেই বর্তমানটা যে শুধু ক্রিকেট দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য রোমাঞ্চকর, সেটাও বলে দিলেন জাতীয় দলের এই প্রধান কোচ, ‘আমার ধারণা, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্যই রোমাঞ্চকর একটা সময় কাটছে। আমি মনে করি, জয় সবসময়ই ভালো অভিজ্ঞতা। তার ওপর আমরা যেভাবে জিতছি এবং খেলছি, সেটা বিশেষ রোমাঞ্চকর। এমন জয় তো আমাদের আগে খুব আসেনি, তাই অবশ্যই রোমাঞ্চকর।’ যেহেতু সময়টা খুব রোমাঞ্চকর, তাই শিষ্যদের এটা উপভোগ করারই অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচ। আর এই উপভোগে অন্তত কোনো অন্যায় দেখেন না হাতুরুসিংহে, ‘আমি এই জয় উদযাপনে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু দেখিনি যাতে তাদের মনোসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তারা পা মাটিতেই রাখছে। তবে এটাও সত্যি যে, জয় ব্যাপারটা উপভোগ করতে হয়। এদের অনেকেই এই ধরনের জয় এর আগে কখনো পায়নি। ফলে তাদের নজিরবিহীন এই আনন্দ করতে দিতে হবে। তাদের সব ধরনের অধিকার আছে উপভোগ করার এবং উপভোগ করতে যে আত্মবিশ্বাস চাই, সেটাও আছে।’ এমনকি খেলোয়াড়রাও যাতে অতীত রেকর্ড নিয়ে মাথা না ঘামায়, সে জন্য নাকি কোচের চেষ্টার কমতি নেই, ‘খেলোয়াড়রা কী ভাবে, কী পড়ে; সেটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমি শুধু ওদের বলতে পারি, বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবতে। আমি সবসময় ওদের বলি, তারা কতোটা ভালো সেটা নিয়ে ভাবতে; আগে কী হয়েছে তা নিয়ে নয়।’ যে বাংলাদেশ এক বছর আগেও হারছিলো, তারা কিভাবে এতো বদলে গেলো, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং আক্রমণ নিয়ে কোচের কথা শুনলে বুঝবেন, বৈচিত্র্যই এই […]

খানদানি ভিক্ষুক

ভিক্ষা করতে কত জনই না কত কৌশল অবলম্বন করেন। কেউবা রাস্তার পাশে পড়ে থেকে ভিক্ষা করেন। আবার কোন কোন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক অনেক সময় ভিক্ষা করতে সাথে রাখেন একজন সহযোগীকে। তবে এবার এমন একজন ভিক্ষুকের সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি কিনা ভিক্ষা করেন নিজের দামি গাড়িতে চড়ে। ভারতের রাজস্থানে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী রফিকের দুই পা-ই নেই। পা না থাকলেও বিশেষভাবে গাড়ি চালানো রপ্ত করে নিয়েছেন রফিক। তার পরিবারের বাকি পাঁচ সদস্য তার সাথে ঐ গাড়িতেই থাকেন। গাড়িতেই তারা খাওয়া-দাওয়া করেন। ঘুমানও ঐ গাড়িতেই। গাড়িতে বসে ভিক্ষা করে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় করেন রফিক। মাসিক হিসাবে যা লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এক কথায় তাকে ধনী ভিক্ষুক বললে হয়তো বেশি বলা হবে না।  

ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য হলেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার তাকে নবগঠিত নারী ও সমতা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি মারিয়া মিলার দুই সপ্তাহ আগে এই কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হন। এমপিদের কয়েক বছরের দাবির মুখে সমপ্রতি নারী ও সমতা বিষয়ক বিষয়গুলো দেখাশোনার জন্য একটি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি করে যুক্তরাজ্য সরকার। গত ৭ মে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ভোটে জয়ী হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।