Archive for August 9th, 2015
Posted by admin on August 9th, 2015
বিশ্বের সেরা এবং সব চেয়ে প্রশাংসার দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে কানাডা। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। এর পরের স্থান পেয়েছে- সুইজাল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রেপুটেশন ইনিষ্টিটিউট‘র এই ঘোষণা দেন। এই তালিকায় কানাডা গত বছর দ্বিতীয় স্থানে ছিলো। এবার আবারো পরপর তিন বার ২০১১, ২০১২, ২০১৩ সালে সার্বিক শ্রেষ্ঠ দেশের মর্যাদার তালিকায় স্থান পেয়ে আসছিল।
Posted by admin on August 9th, 2015
আমেরিকার দুই শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল গ্রোভ এবং এডমিরাল পারনেল প্রায় নিশ্চিত হয়েছিলেন যে জাপানের উপর অল্প সময়ের ভেতর দু’টি আণবিক বোমা নিক্ষেপ করলে জাপান সরকারকে আত্মসমার্পণে রাজি করানো যাবে। লস আলামোস এ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় বসেছিলেন ঠিক কোন ধরণের বোমাটি নিক্ষেপ করা হবে, ইউরেনিয়াম নাকি প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা। হিরশিমা’তে নিক্ষেপ করা “লিটল বয়” ছিলো ইউরেনিয়াম ভিত্তিক এবং তা কতোটা বিধ্বংসী তা দেখা হয়ে গেছে। এখন প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক বোমা কী করতে পারে তা দেখার বাকি। আমেরিকানদের মূল লক্ষ্য ছিলো কোকুরা। প্রাথমিক ভাবে বোমার তিনটি লক্ষ্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিয়োতো, কোকুরা এবং নিইগাতা। ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিয়োতো’র বদলে দ্বিতীয় লক্ষ্য হিসেবে নাগাসাকি’কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃতীয় লক্ষ ছিলো নিইগাতা -কিন্তু দূরত্বের কারণে সেটিকেও বাদ দেয়া হয়। চুড়ান্ত ভাবে দু’টি লক্ষ্যই থাকলো কোকুরা ও নাগাসাকি। নাগাসাকি একটি বড় জাহাজ নির্মাণ শহর এবং সেখানে বিশাল সামরিক বন্দর ছিলো। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেখানে বিগত ১২ মাসে ৫ দফা বোমা বর্ষণ হয়েছিলো কাজেই সেখানে বোমা নিক্ষেপ করা হলে আণবিক বোমায় কী ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা কঠিন হবে। যাইহোক, তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া আর ভাগ্যই নাগাসাকি’কে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। “এনোলা গে” হিরোশিমা’তে গিয়ে বৈচিত্রহীন যাত্রা করে বোমা নিক্ষেপ করে ঘাঁটিতে ফিরে আসে। নাগাসাকি’তে বোমা বহনকারী বিমান “বক্সকার” এবং হিরোশিমার বোমা বহনকারী “এনোলা গে” দু’টি বিমানই ছিলো বি২৯ সুপারফোট্রেস বোমারু বিমান। বক্সকার টিনিয়ান দ্বীপ থেকে অগাষ্টের ৯ তারিখ ভোর ৩টা ৪০ মিনিটে আকাশে ওড়ে। উড্ডয়নের পর বিমানের ফ্লাইট কমান্ডার মেজর সুইনি দেখতে পান বিমানটির জ্বালানি পাম্প কোনো কাজ করছে না। ফলে ট্যাঙ্কে যে অতিরিক্ত ৮০০ গ্যালন তেল ছিলো তা রয়ে গেলো অব্যবহৃত এবং অতিরিক্ত তেল বহনের কারণে বিমানটিকে আতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হচ্ছিলো। হিরোশিমার “লিটল বয়” ছিলো সাধারণ বন্দুক ধরনের বোমা, কিন্তু “ফ্যাট ম্যান” ছিলো “ইমপ্লোশন” ধরনের। অর্থাৎ এটি অন্তর্মুখী বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমাটিকে ঘিরে ৬৪টি বিস্ফোরক লাগানো ছিলো। বোমাটির ওজন ছিলো ১০ হাজার পাউন্ড, দৈর্ঘ্যে ১০ ফিট ৮ ইঞ্চি। এটির ২০ হাজার টন উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতা ছিলো। বক্সকার যখন তার প্রধান লক্ষ্য কোকুরা’র কাছাকাছি তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আবহাওয়াই শহরটিকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। শহরটি মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। সুইনি শহরের উপর তিনবার চক্কর দিলেন কিন্তু কোথাও কোনো ফাঁকা স্থান খুঁজে পেলেন না। সাথে তেলের চিন্তাও একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। সুইনি সিদ্ধান্ত নিলেন তারা দ্বিতীয় লক্ষ্য নাগাসাকিতেই যাবেন। সুইনি’র যে পরিমাণ তেল অবশিষ্ট ছিলো তা দিয়ে শহরটির উপর দিয়ে মাত্র একবার চক্কর দেয়া সম্ভব হবে এবং তিনি আর টিনিয়ানে ফিরে যেতে পারবেন না। তাকে নামতে হবে ওকিনাওয়া’তে। নাগাসাকি শহরেও হালকা মেঘের আস্তর ছিলো কিন্তু তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করার মতো একটি ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেলেন। ২৮,৯০০ ফিট […]