‘কমিউনিটি নিউজ’

বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ : কী পেলাম, কী হারালাম

রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাস আমাদের উপর মেঘমালার মতো সুশীতল ছায়া দান করছিল, এ মাসের রোযা তাকওয়ার অনুশীলন দান করছিল। মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াতের ধ্বনি, যা মূলত মুমিনদের উদ্দেশ্যে রাহমানুর  রাহীমের আহবান, মস্তিষ্ককে সুশোভিত আর অন্তঃকরণকে আলোকিত করছিল, তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, যিকির ও দুআ অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটল। যেন ইবাদতের সেই বিশেষ রুখ পরিবর্তিত হল এবং ১ শাওয়ালে রোযা নয়, ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার গোলামির পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্য এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের কাছ থেকে চলে গেল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দু্ই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত যে, রমযান ও ঈদ থেকে সে কী পেল এর কী কী প্রভাব ও ক্রিয়া অন্তর ও মস্তিষ্কে, বোধ ও বিশ্বাসে, কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল এবং রমযানের বিদায়ে কী কী খায়ের-বরকত সে হারাল। এটা বাস্তব যে, যে ব্যক্তি রমযানের হক যত বেশি আদায় করেছে, রমযানের আদবসমূহের প্রতি যত বেশি যত্নবান থেকেছে সে তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব ও ক্রিয়া ততবেশি অনুভব করবে। আর যে ব্যক্তি ত্রুটি করেছে সে তার ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবে। রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া, যা বান্দাকে প্রতিমুহূর্তেই রাহনুমায়ি করে, কল্যাণের দিকে আহবান করে, কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। অকল্যাণ থেকে বিরত থাকার তাগিদ সৃষ্টি করে। তাকওয়ায় পরিপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে। আমরা যদি রমযান ও রোযার পুরো হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কেননা, প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে। আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা সযত্নে লালন করা হয় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা হয় তাহলে এগুণ দৃঢ়তর এবং উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির ব্যাপারে একথা অধিক সত্য এবং অধিক প্রযোজ্য। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে নিজেই ইরশাদ করেছেন, আমার বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। […]

ইওয়াতে প্রিফেকচারে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

শুক্রবার ভোরে ইওয়াতে প্রিফেকচারে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে প্রিফেকচারের রাজধানী মোরিওকা’তে ৭০ বছরের এক নারী ভূমিকম্পে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং ৬০ বছরের অপর এক মহিলা কাঁধে আঘাত পেয়েছেন। তাদের কারো আঘাতই তেমন গুরুতর নয়। ভোর ৩টা ৩২ মিনিটে উপকূলের নিকট মাটির ৮৮ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ০ থেকে ৭ মাত্রার জাপানি স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ এর কিছু কম।

বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ

রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস; এই মাস মেঘমালার মতো আল্লাহর বান্দাদেরকে শীতল ছায়া দান করছিল; মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াত, যা মূলত মুমিনের উদ্দেশ্যে রাহমানুর রাহীমের আহবান, হৃদয় ও মস্তিষ্কে আলো দান করছিল; যিকির ও দুআ এবং তেলাওয়াত ও তাহাজ্জুদ, অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত করছিল এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি ঘটল; যেন ইবাদতের এই বিশেষ রোখ পরিবর্তিত হল এবং পয়লা শাওয়ালে রোযার পরিবর্তে ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্যে এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক নসীব হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দুই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত, রমযান ও ঈদ থেকে তিনি কী আহরণ করলেন এবং এর কী প্রভাব তার হৃদয় ও মস্তিস্কে, বোধ ও বিশ্বাসে এবং কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল। রমযান থেকে তিনি কী পেলেন এবং রমযানের বিদায়ে কী খায়ের-বরকত হারালেন। এটা বাস্তব সত্য যে, রমযানের হক যিনি যত বেশি আদায় করেছেন, রমযানের আদবসমূহের প্রন্তুি যিনি যত বেশি যত্নবান থেকেছেন তিনি তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব তত বেশি অনুভব করবেন। পক্ষান্তরে যিনি যেমন ত্রুটি করেছেন ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবেন। আমরা যদি রোযা ও রমযানের পুরা হক আদায় করে থাকি তাহলে রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া; যা বান্দাকে প্রতি মুহূর্তে পথনির্দেশ দান করে; বান্দাকে কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি বিরূপ করে। তাকওয়াপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে। আর যদি রমযানের পুরা হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই। কেননা প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে; আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা লালন করা যায় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা যায় তাহলে এই বৈশিষ্ট্য দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর এবং উজ্ঝল থেকে উজ্ঝলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির বিষয়ে এ কথা আরো বেশি সত্য। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে ইরশাদ করেছেন, ‘‘বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে আমিও […]

ছাড়া পেলেন টয়োটার সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প

টোকিওর প্রসিকিউটররা টয়োটা মোটর’র সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছিলো তিনি অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ ড্রাগ আমদানি করেছেন। গ্রেপ্তার করার প্রায় ৩ সপ্তাহ পর বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়। জুনের ১৮ তারিখ আন্তর্জাতিক ডাকের মাধ্যমে ৫৭টি বড়ি চোরাচালান করার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীরা বলছেন বড়ি গুলোতে অক্সিকোডোন নামের এক ধরনের মাদক ছিলো। টোকিওর প্রসিকিউটররা হ্যাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে তিনি সেগুলো আনেননি কারণ তিনি হাঁটুর ব্যাথার জন্যে বড়ি গুলো কিনেছিলেন। এক সপ্তাহ আগে টয়োটা হ্যাম্পের পদত্যাগের কথা জানায়। ৫৫ বছর বয়সী আমেরিকান ছিলেন টয়োটার প্রথম মহিলা ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।

ইউনেস্কো হ্যারিটেজ মর্যাদা পেলো মেইজি শিল্প বিপ্লব সাইট

ইউনেস্কো’র একটি প্যানেল কয়েকটি শিল্প এলাকার সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি শিল্প সাইটের গ্রুপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। রোববার জার্মান শহর বন এ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৮টি প্রিফেকচারের ২৩টি সাইটকে এর ভেতর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব সাইট গুলো জাপানের শিল্প বিপ্লবের গোড়ার দিককার স্থান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে মেইজি সময়ে জাপানের যে শিল্পয়োন্নয়্ন ঘটে এসব স্থান গুলো সেগুলোর সাক্ষী বহন করে চলেছে। প্যানেল স্বীকার করে সাইট গুলো একটি অ-পশ্চিমা দেশে পশ্চিম থেকে শিল্পায়নের প্রথম সফল বিস্তার। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমন্বয় জটিল হয়ে ওঠায় চুড়ান্ত আলোচনা রোববার পর্যন্ত একদিনের জন্য স্থগিত করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা দাবি করেন কোরিয়ানদেরকে এসব সাইট গুলোকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আনা হয়েছিলো। দক্ষিণ কোরিয় সরকারের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদেরকে বলেন প্যানেলের চুড়ান্ত বৈঠকে তারা জাপানের সাথে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

হাশিমাঃ পরিত্যাক্ত এক দ্বীপের কথা

দক্ষিণ জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যাক্ত দ্বীপ হাশিমা যা গুনকানজিমা (রণতরী দ্বীপ) নামেই পরিচিত -শিল্পন্নোত জাপানের ইতিহাস যেন সে তুলে ধরছে। দ্বীপটি এখন নাগাসাকি প্রিফেকচারের ৫০৫টি বসতিহীন দ্বীপের একটি। দ্বীপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিত্যাক্ত এবং নির্বিঘ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কংক্রিট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গুলো ও তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্র প্রাচীর। দ্বীপটি সমুদ্রতলদেশীয় কয়লা খনির জন্যে এক সময় সুপরিচিত ছিলো, ১৮৮৭ সালে কয়লা খনির কাজ শুরু হয় -যা জাপানের শিল্পায়নের সময় পরিচালিত হতো। ১৯৫৯ সালে ৬.৩ হেক্টর (১৬ একর) দ্বীপটির জনসংখ্যা শিখরে ওঠে, এ সময় জনংখ্যা ছিলো ৫,২৫৯ জন। কয়লা খনিটি ১৯৭৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার অল্প পরেই দ্বীপবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক গুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে বাইরের ধসে পড়া দেয়ালের কোনো কোনো অংশকে আবার মেরামত করা হয়েছে। কিছু মানুষের আগ্রহে চলতি শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসে এবং ধীরে ধীরে তা পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যটকদের জন্যে দ্বীপটি খুলে দেয়া হয়। এখন দ্বীপটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার জন্যে ইউনেস্কোর বিবেচনায় রয়েছে। ১৮৮৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কয়লা খনি থাকাকালীন দ্বীপটিতে মানববসতি ছিলো। দ্বীপটির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন ছিলো নাগাসাকির শহরের। জাপানের শিল্পোন্নয়নের সময় কয়লা খনির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিশি দ্বীপটি কিনে নেয় এবং তার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের সমুদ্রতলদেশীয় খনি থেকে কয়লা আহরণের পরিকল্পনা ছিলো। খনির জন্যে শ্রমিক আনা হয় জাপানি উপনিবেশ গুলো থেকে। সেখানেই জাপানের সর্বপ্রথম সুউচ্চ কংক্রিট অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, উচ্চতা ছিলো ৯তলা। এটি নির্মিত হয় ১৯১৬ সালে। কোম্পানির কর্মীরা এখানে থাকতেন। তাইফুন থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু প্রাচীর। ১৯৩০ এর দশকে অনেক চীনা ও কোরিয়ানকে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে এখানে আনা হয়েছিলো। ১৯৬০ এর দশকে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে জাপান থেকে কয়লার ব্যবহার কমতে থাকে। হাশিমা’রও একই অবস্থা। মিৎসুবিশি ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়লা খনি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, আজকে দ্বীপটি জনশূন্য। ৩৫ বছর পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল আবার তাতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়।

গ্রীষ্মে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাচ্ছেন

এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্যটনে যাচ্ছেন। বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ জাপানে ও জাপানের বাইরে পর্যটনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন সংস্থা জেটিবি বলেছে জুলাইয়ের ১৫ থেকে অগাষ্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ০.১ শতাংশ। জেটিবি’র তথ্যানুসারে ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ জাপানের ভেতরেই থাকছেন -যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে ০.২ শতাংশ। মানুষের সবচেয়ে পছন্দের স্থান হচ্ছে হোকুরিকু অঞ্চল। এ বছর সেখানে নতুন শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের লাইনও চালু হয়েছে। এ ছাড়াও শীর্ষে রয়েছে ইসে-শিমা আগামী বছর যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে বিদেশে পর্যটনে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এবার ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষে, এর মূল কারণ দুর্বল ইয়েন।

শাবান, রমযান, ঈদঃ কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন : শবে বরাত সম্পর্কে কিছু বিষয় জানতে চাই। আজকাল কারো কারো মুখে শোনা যায় যে, শবে বরাত বলতে কিছু নেই, এ রাতের ফযীলত বিষয়ে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযূ বা যয়ীফ। তাই শবে বরাতকে ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা জায়েয নয়। তাদের কথা কি ঠিক? যদি ঠিক না হয় তাহলে হাদীস ও সুন্নাহর আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর : শবে বরাত অর্থাৎ পনেরো শা’বানের রজনীর ফযীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।-সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৫৬৬৫ শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত প্রমাণিত হওয়ার জন্য এই একটি হাদীসই যথেষ্ট। তবুও হাদীসের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে এ বিষয়ক আরো হাদীসউল্লেখ করা সম্ভব। নিম্নে আরেকটি হাদীস উল্লেখ করা হল। হযরত আ’লা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়তো ইনতেকাল হয়ে গেছে। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা! তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি তখন বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস’াতেই।-শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩ উপরোক্ত হাদীস থেকে এ রাতের ফযীলত যেমন জানা যায় তদ্রূপ এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ দীর্ঘ নামায পড়া, সেজদা দীর্ঘ হওয়া, দুআ ও ইসে-গফার করা ইত্যাদি। মোটকথা, সহীহ হাদীস থাকা অবস’ায় শবে বরাতের ফযীলত ও গুরুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা এবং এ সংক্রান- সকল রেওয়ায়েতকে মওযূ বা যয়ীফ বলা যে কত বড় অন্যায়, তা তো বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন : অনেকে শবে বরাতের পরদিন রোযা রাখেন। এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী জানতে চাই। উত্তর : শা’বানের এক তারিখ থেকে সাতাইশ তারিখ পর্যন- রোযা রাখার বিশেষ ফযীলতের কথা […]

মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে এলডিপিকে আবের আহ্বান

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দলের এক নির্বাহী বৈঠকে তার দল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা পরিস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের জুনিয়ার আইনপ্রণেতারা গত সপ্তাহে মিডিয়ার উপর আক্রমনাত্বক বক্তব্য রাখার সূত্র ধরে সোমবার আবে এলডিপি মহাসচিব সাদাকাজু তানিকাগি’কে এ নির্দেশ দেন। জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের আয়োজিত এক সমীক্ষা বৈঠকে সরকারের সমালোচনাকারী মিডিয়া গুলোর নিন্দা জানানো হয়, তাদের মতে মিডিয়া গুলো পক্ষপাত দুষ্ট। একজন আইনপ্রণেতা বলেন বিজ্ঞাপন আয় বন্ধ করে দিয়ে এ সব পত্রিকা গুলোকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া উচিত। তানিগাকি আবে’কে জানান দল সমীক্ষা বৈঠকের আয়োজক সদস্যকে পদচ্যুত করেছে। আবে বলেন, এলডিপি’র অনেক সাবেক কর্মীকে ওকিনাওয়ার জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের মন্তব্য সত্যিই খুব দুঃখজনক যা ওকিনাওয়াবাসীদের অনুভূতির বিপক্ষে যায়। আবে বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং এলডিপি যে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা অবশ্যই পরিস্কার ভাবে করে দেখাতে হবে।

চীনের উত্থান জাপানের কাছে অসহ্য লাগছেঃ চীন

জাপানের জনগন চীনের উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না আর আসলে সেটিই হচ্ছে দু’দের মধ্যেকার সম্পর্কোন্নয়নের পথে মূল বাধা -চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও টোকিওতে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত শনিবার এ কথা বলেন। সাইনো-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে চীন যা দেখতে পাচ্ছে তা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঔপনিবেশিকতার প্রায়শ্চিত্ত করতে ব্যর্থতা। জাপান ও চীন দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়ে সাম্প্রতিক দিন গুলোতে তিক্ত সম্পর্ক অতিবাহিত করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইই একটি শিক্ষা ফোরামে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন চীন চায় জাপানের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক। “কিন্তু প্রশ্ন ওঠে একটি বিষয়েই- জাপান কি তার বৃহত্তম প্রতিবেশী চীনের উন্নয়ন এবং উত্থানকে মেনে নিতে ও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে?” ওয়াং বলেন। “চীনের উন্নয়ন ইতিমধ্যেই জাপানকে অনেক সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক ভাবে আমার মনে হয় না জাপানের পক্ষ থেকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয় এটাই চীন ও জাপানের মধ্যেকার অনেক ইস্যুর মূল কারণ” তিনি বলেন। ওয়াং বলেন, এক ভালো জাপানি বন্ধু তাকে বলেছিলেন চীন এখন জাপানের অবস্থানে চলে গেছে যেই স্থানটি ঐতিহাসিক ভাবে জাপানের ছিলো “সুতারাং আমাদের জাপানিদেরকে এই বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিতে হবে”। গত বছর জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং’য়ের সাথে বৈঠকের পর দীর্ঘদিন পরে দু’দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। তবে এ বছর চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে যা দু’দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাকে পুনরায় নাড়া দিতে পারে।