‘কমিউনিটি নিউজ’

মাহে রমাযান: আমরা উপনীত হয়েছি জীবন-পথের হাম্মামে

মাহে রমাযান সমাগত। রহমতের পয়গাম নিয়ে রাব্বুল আলামীনের বার্তাবাহক বান্দার দুয়ারে হাজির। বান্দা যদি তাকে বরণ করে যথাযথ মর্যাদায় আর শিরোধার্য করে রাব্বুল আলামীনের পয়গাম তাহলে দো’জাহানের কামিয়াবী তার পদচুম্বন করবে। গুনাহর সিয়াহী ও পাপের কালিমা থেকে মুক্ত হয়ে সে লাভ করবে হায়াতে তাইয়্যিবা-পবিত্র জীবন। আর তার সেতুবন্ধন তৈরি হবে চির পবিত্র ও সুমহান সত্ত্বার সাথে। তাই মাহে রমাযান রাব্বুল আলামীনের মহা নেয়ামত পৃথিবীর আলো-বাতাসের মতো এই নেয়ামতও আল্লাহ তাআলা সবার জন্য অবারিত রেখেছেন এবং যতদিন ইচ্ছা অবারিত রাখবেন। মাহে রমাযানে গায়বের জগতে সাজ সাজ রব পড়ে যায় আর আল্লাহ তাআলার করুণার সাগরে জোয়ার আসে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন রমাযানুল মুবারকের আগমন হয় তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ নূরের জগতের এই আলোড়ন মাটির মানুষকেও আলোড়িত করে, এমনকি যে রূহ খাহিশাতের জিঞ্জিরে আবদ্ধ এবং যে কলব গাফলতের নিদ্রায় অভীভূত তাও মুক্তি ও জাগরণের স্পর্শ পেতে অস্থির হয়ে ওঠে। বান্দার রূহ ও কলবের এবং আত্মা ও হৃদয়ের এই আকুতিকে পূর্ণ করার জন্য রব্বুল আলামীন অনুগ্রহ করেছেন এবং বিধান দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি ফরয করা হল সিয়াম। যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন কর।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩) সওমের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে যে বেলা-হিসাব সওয়াব দান করবেন একটি হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তার কারণ দর্শিয়ে বলেন, সওম হল একান্তই আমার জন্য। আর তার প্রতিদান দিব আমি নিজে। বান্দা তো আমারই জন্য কাম ও পানাহার বর্জন করে।’ (বুখারী ও মুসলিম) অতএব সওম ও রমাযানের যে মহা নেয়ামত আল্লাহ দান করেছেন বান্দার দায়িত্ব তার মর্যাদা রক্ষা করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোযার দিনে তোমরা কেউ অশ্লীল কথা বলো না এবং হৈ চৈ করো না। কেউ যদি তোমার সাথে ঝগড়া-বিবাদে প্রবৃত্ত হয় তাহলে বল, আমি তো রোযাদার।’ অন্য হাদীসে আছে, যে মিথ্যা ও পাপাচার বর্জন করে না তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ অতএব রোযার মর্যাদা তখনই রক্ষা হবে যখন রোযাদার গুনাহ ও পাপাচার বর্জন করবে। আর গুনাহ বর্জনের এই প্রচেষ্টা তো গুনাহমুক্ত জীবন লাভেরই প্রয়াস। বান্দার এক মাসের গুনাহ বর্জনের প্রচেষ্টায় আল্লাহ তাকে দান করবেন তাকওয়া ও পরহেযগারীর এক পবিত্র জীবন যা তাকে উপযুক্ত করবে মালিকের সান্নিধ্য লাভের। মানুষের জীবন তো শুধু কিছু সময়। আর এই সময়ের আছে সমাপ্তি। সময়-পথের শেষে প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্ধারিত মানযিল। তবে মুমিনের মানযিলে মাকসুদ হল চির পবিত্র ও চির শান্তির স্থান জান্নাত। অপবিত্র ও কালিমালিপ্ত অবস্থায় তো সেখানে প্রবেশ করা যাবে না। তাই সময়-পথের নির্দিষ্ট দূরত্বে রাব্বুল আলামীন প্রস্তুত রেখেছেন সময়ের হাম্মাম’। জীবন-পথের […]

গিনেজ বুকে নাম ওঠালো জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন

জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন ঘন্টায় ৬০৩ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিনেজ বুকে বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের খাতায় নাম উঠিয়েছে। ম্যাগলেভ ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা মধ্য জাপান রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে গিনেজ বুক রেকর্ড গত বৃহস্পতিবার ম্যাগলেভ ট্রেনের গতিকে তাদের এই স্বীকৃতি প্রদান করে। টোকিওর পশ্চিমে ইয়ামানাশি প্রিফেকচারে গত এপ্রিলে পরীক্ষামূলক যাত্রাকালে ম্যাগলেভ ট্রেন এই রেকর্ড সৃষ্টি করে। আগে ২০০৩ সালে তারা ঘন্টায় ৫৮১ কিলোমিটার বেগে ম্যাগলেভ ট্রেন চালিয়ে আগের বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন। কোম্পানি জানিয়েছে তারা গিনেজ বুকের স্বীকৃতিতে খুবই আনন্দিত। তারা প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। পরিকল্পনা অনুসারে ২০২৭ সাল থেকে টোকিও হতে নাগোয়া পর্যন্ত ম্যাগলেভ ট্রেন সার্ভিস শুরু হবে।

টয়োটার সদর দফতরে পুলিশের অভিযান

জাপানের টয়োটা সিটিতে অবস্থিত টয়োটা মোটর কর্পোরেশনের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। একই সাথে রাজধানী টোকিওর টয়োটা দফতরেও অভিযান চালানো হয়। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, জাপানে নিষিদ্ধ একটি দ্রব্য আমদানি করেছেন এমন সন্দেহে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিক জুলি হ্যাম্পকে গ্রেফতারের পর অভিযান চালানো হয়। হ্যাম্পকে সম্প্রতি টয়োটার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের নামে ব্যথানাশক ৫৭টি অক্সিকোডন ট্যাবলেট একটি প্যাকেটে করে পাঠিয়ে ছিলেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘নেকলেস’। অক্সিকোডন মাদকজাতীয় পেইন কিলার। টয়োটার দফতরে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ কী খোঁজ করছে তা পরিষ্কার নয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে একজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর সেখানে অভিযান চালানো একটি নিয়মিত বিষয়।

জাপান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল

গত ২১ জুন ২০১৫ রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ আলচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই সংগ্রামী দলের গোড়াপত্তন হয়। “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ” নাম নিয়ে শুরু হলেও পরে “নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই দলটির প্রতীক নৌকা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক দলটির নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ”। সংগঠনের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আলচনা পর্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনের “রোজ গার্ডেন প্যালেস” এ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গীয় প্রদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পর্ব থেকে আজ অব্দি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলচনা করেন- মোতালেব শাহ আইয়ুব প্রিন্স, আব্দুল কুদ্দুস, রহমান লিটন, সোহেল রানা, ফারুক আহমেদ, গোলাম মাসুম, কাজী ইনসানুল হক, রায়হান কবির ভুঁইয়া সুমন, মুক্তা চৌধুরি, মোল্লা ওয়াহিদ, মাসুদুর রহমান, হারুনুর রশিদ, সনত বড়ুয়া। ইফতার ও নামাজের শেষে উপস্থিত প্রবাসীরা নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাতে সুস্বাদু নৈশ ভোজে সকলকে আপ্যায়িত করা হয়।

টোকিওতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

মায়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একদল বিক্ষোভকারী শনিবার টোকিওতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার ছিলো জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে জাপানে বাস করছেন। তারা দক্ষিণ-এশিয়াতে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান। অ‌্যাসোসিয়েশন অফ রোহিঙ্গা রেসিডেন্টস অফ জাপান’র প্রধান আন টিন বলেন, মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে এর জন্যে সহায়তা কামনা করেন। মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা সম্প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মানব পাচারের শিকার হয়ে এসব রোহিঙ্গারা সাগর পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করছে। থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়াতে প্রচুর রোহিঙ্গার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসে থাইল্যান্ডে সাগরে আটকে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো হয়। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ। তারা দাবি করে এরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী।

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে রোযার গুরুত্ব ও ফযীলত

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (তরজমা) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।-সূরা বাকারা (২) : ১৮৩ অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন- فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ (তরজমা) সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোযা রাখে।- সূরাবাকারা (২) : ১৮৫ হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فافطروا، فإن غم عليكم فصوموا ثلاثين، وفي رواية : صوموا لرؤيته وأفطروا لرويته، فإن عم عليكم فاكملوا العدد. যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদদেখবে, তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮০ (১৭-১৮) উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস এবং এ বিষয়ক অন্যান্য দলীলের আলোকে প্রমাণিত যে, রমযান মাসেররোযা রাখা ফরয, ইসলামের আবশ্যক বিধানরূপে রোযা পালন করা ও বিশ্বাস করাও ফরয। তাছাড়া কোনো শরয়ী ওযর ছাড়া কোন মুসলমান যদি রমযান মাসের একটি রোযাও ইচ্ছাকৃতভাবেপরিত্যাগ করে তাহলে সে বড় পাপী ও জঘন্য অপরাধীরূপে গণ্য হবে। দ্বীনের মৌলিক বিধানলঙ্ঘনকারী ও ঈমান-ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারী হিসেবে পরিগণিত হবে। হাদীস শরীফেইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ত্যাগকারী ও ভঙ্গকারীর জন্য কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু উমামা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, بينما أنا نائم أتاني رجلان فأخذا بضبعي فأتيابي جبلا وعرا فقالا : اصعد؛ فقلت : إني لا أطيقه. فقالا: سنسهله لك، فصعدت حتى إذا كنت في سواء الجبل إذا بأصوات شديدة، قلت : ما هذه الأصوات؟ قالوا هذا عواء أهل النار، ثم انطلق بي، فإذا أنا بقوم معلقين بعراقيبهم، مشققة اشداقهم، تسيل اشداقهم دما. قال : قلت : من هؤلاء : قال : الذين يفطرون قبل تحلة صومهم. رواه الحاكم فى المستدرك وقال : صحيح على شرط مسلم، ووافقه الذهبي، وذكره الهيثمى فى المجمع (240)، وقال : رجاله رجال الصحيح আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার নিকট দুই ব্যক্তি আগমন করল। তারা আমার বাহুদ্বয়ধরে আমাকে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে এল। তারপর আমাকে বলল, আপনি পাহাড়ের উপর উঠুন।আমি বললাম, আমি তো উঠতে পারব না। তারা বলল, আমরা আপনাকে সহজ করে দিব। আমিউপরে উঠলাম। যখন পাহাড়ের সমতলে পৌঁছালাম, হঠাৎ ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমিবললাম, এ সব কিসের আওয়াজ? তারা বলল, এটা জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারপর তারা আমাকেনিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদেরকে তাদের পায়ের মাংসপেশী দ্বারা ঝুলিয়েরাখা হয়েছে। এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিড়ে ফেলা হয়েছে এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমিবললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের সময় হওয়ার আগেই রোযা ভেঙ্গে ফেলে।-সহীহইবনে খুযাইমা, হাদীস : ১৯৮৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭৪৪৮; সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস: ৩২৮৬; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস-১৬০৯; তবারানী, হাদীস : ৭৬৬৬ রমযান মাসের একদিন রোযা না রাখলে মানুষ শুধু গুনাহগারই হয় না, ঐ রোযার পরিবর্তেআজীবন রোযা রাখলেও রমযানের এক রোযার যে মর্যাদা ও কল্যাণ, যে অনন্ত রহমত ও খায়ের-বরকত তা কখনো লাভ করতে পারবে না এবং কোনোভাবেই এর যথার্থ ক্ষতিপূরণ আদায় হবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, من افطر يوما من رمضان متعمدا من غير سفر ولا مرض لم يقضه ابدا، وان صام الدهر كله، … وقد ذكره البخاري تعليقا بصيغة الجزم حيث قال : وبه قال ابن مسعود، وقال الشيخ محمد عوامه : وهذا الحديث موقوف لفظا ومرفوع حكما যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে, সে আজীবনরোযা রাখলেও ঐ রোযার হক আদায় হবে না।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩;মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৭৬; সহীহ বুখারী ৪/১৬০ হযরত আলী রা. বলেন- من افطر يوما من رضمان متعمدا لم يقضه أبدا طول الدهر. যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযান মাসের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোযার(ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮ হাদীস শরীফে বর্ণিত রোযার কিছু ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য এখানে উল্লেখ করা হলো : ১. রোযার প্রতিদান আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজেই দিবেন এবং বিনা হিসাবে দিবেন প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাআমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোযার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোযার বিষয়ে আছেআল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এক অনন্য ঘোষণা। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة بعشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف، قال الله تعالى : الا الصوم فإنه لى وانا أجزى به يدع شهوته وطعامه من أجلى. মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণপর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোযা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবংআমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেএবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১১৫১ (১৬৪); মুসনাদে আহমদ, হাদীস :৯৭১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৮৯৮৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৬৩৮ অন্য বর্ণনায় আছে- عن أبى هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : قال الله : يترك طعامه وشرابه وشهوته من أجلى، الصيام لى وانا اجزى به، والحسنة بعشر امثالها. হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহরাববুল আলামীন বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে, রোযাআমার জন্যই, আমি নিজেই তার পুরস্কার দিব আর (অন্যান্য) নেক আমলের বিনিময় হচ্ছে তারদশগুণ।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৮৯৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৯৯৯৯; মুয়াত্তা মালেক ১/৩১০ রোযা বিষয়ে-অন্য বর্ণনায়-আললাহ তাআলা বলেন, ‘‘প্রত্যেক ইবাদতই ইবাদতকারী ব্যক্তির জন্য,পক্ষান্তরে রোযা আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। (সহীহ বুখারী হাদীস-১৯০৪) এ কথার তাৎপর্য হল, যদিও প্রকৃতপক্ষে সকল ইবাদতই আল্লাহর জন্য, তার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভেরউদ্দেশ্যেই হয়ে থাকে। তবুও রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। তা হল-অন্যান্য সকল ইবাদতের কাঠামোগত ক্রিয়াকলাপ, আকার-আকৃতি ও নিয়ম পদ্ধতি এমন যে, তাতেআল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ছাড়াও ইবাদতকারীর নফসের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান থাকে।মুখে প্রকাশ না করলেও অনেক সময় তার অন্তরে রিয়া তথা লোক দেখানো ভাব সৃষ্টি হতে পারে।তার অনুভূতির অন্তরালে এ ধরনের ভাব লুকিয়ে থাকে। তা সে অনুভব করতে না পারলেও তারভিতরে অবচেতনভাবে বিদ্যমান থাকে। ফলে সেখানে নফসের প্রভাব এসে যায়। পক্ষান্তরে রোযাএমন এক পদ্ধতিগত ইবাদত, তার-আকার-আকৃতি এরূপ যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যব্যতীত ইবাদতকারীর নফসের স্বাদ গ্রহণের বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। রোযাদার ব্যক্তি নিজ মুখেরোযার বিষয়টি প্রকাশ না করলে সাধারণত তা আলেমুল গায়েব আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারোনিকট প্রকাশিত হওয়ার মত নয়। তাই রোযার ক্ষেত্রে মাওলার সন্তুষ্টির বিষয়টি একনিষ্ঠভাবেপ্রতিভাত হয়। একারণেই রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের মাঝে এরূপ বিস্তর ব্যবধান। রোযার এত বড় ফযীলতের কারণ এটাও হতে পারে যে, রোযা ধৈর্য্যের ফলস্বরূপ। আরধৈর্য্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার সুসংবাদ হল- إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ধৈর্য্যধারণকারীগণই অগণিত সওয়াবের অধিকারী হবে।-সূরা যুমার (৩৯) : ১০ সব মাখলুকের স্রষ্টা, বিশ্বজাহানের প্রতিপালক, আল্লাহ তাআলা নিজেই যখন এর পুরস্কার দিবেন,তখন কী পরিমাণ দিবেন? ইমাম আওযায়ী রাহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন- আল্লাহ যেরোযাদারকে প্রতিদান দিবেন, তা মাপা হবে না, ওজন করা হবে না অর্থাৎ বিনা হিসাবেই দিবেন। ২. আল্লাহ তাআলা রোযাদারকে কেয়ামতের দিন পানি পান করাবেন হযরত আবু মুসা রা. হতে বর্ণিত, ان الله تبارك وتعالى قضى على نفسه أنه من اعطش نفسه له في صائف سقاه يوم العطش، رواه البزار، وذكره الهيثمي في المجمع (5095)، وقال : رواه البزار، ورجاله موثقون. وقال المنذري في الترغيب (1478)، : إسناده حسن، ان شاء الله. আল্লাহ রাববুল আলামীন নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জণ্যগ্রীষ্মকালে (রোযার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পানকরাবেন।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ১০৩৯; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫০৯৫ হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, قال الله تعالى : الصيام لى وانا اجزى به … فان لهم يوم القيامة حوضا ما يرده غير الصائم، رواه البزار وذكره الهيثمي في المجمع، (5093)، وقال : رواه البزار، ورجاله موثقون. আল্লাহ তাআলা বলেন, রোযা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। কেয়ামতের দিনরোযাদারদের জন্য একটি বিশেষ পানির হাউজ থাকবে, যেখানে রোযাদার ব্যতীত অন্য কারোআগমন ঘটবে না।-মুসনাদে বাযযার, হাদীস : ৮১১৫;  মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫০৯৩ ৩. রোযা হল জান্নাত লাভের পথ عن حذيفة رضي الله عنه  قال : اسندت النبي صلى الله عليه وسلم إلى صدري، فقال : من قال : لا إله إلا الله ختم له بها دخل الجنة، ومن صام يوما ابتغاء وجه الله […]

আওমোরিতে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

উত্তর-পূর্ব জাপানে সোমবার বিকেল ৩টা ১ মিনিটে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে কারো হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিলো আওমোরি প্রিফেকচারের হাচিনোহে’র ১৩২ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্বে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো মাটির ৮০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় আওমোরি ছাড়াও হোক্কাইদো, ইওয়াতে, মিয়াগি, আকিতা, ইয়ামাগাতা সহ উত্তর-পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে।

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে রমাযানুল মুবারক

হিজরীবর্ষের নবম মাসটির নাম রমাযানুল মুবারক। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মাস আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার এবং তাযকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ভরা বসন্ত। মুমিন বান্দার জন্য রমযান মাস আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। তিনি এই মাসের প্রতিটি দিবস-রজনীতে দান করেছেন মুষলধারা বৃষ্টির মত অশেষ খায়ের-বরকত এবং অফুরন্ত কল্যাণ। মুমিনের কর্তব্য, এই মহা নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত হওয়া। ইরশাদ হয়েছে- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (তরজমা) (হে নবী) আপনি বলুন! এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর রহমতেই হয়েছে। সুতরাং এতে তারা যেন আনন্দিত হয়। তারা যা কিছু সঞ্চয় করে, এটা তার চেয়ে উত্তম।-সূরা ইউনুস (১০)-৫৮ এ মাসে বান্দা পার্থিব সকল চাহিদা বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর দয়া ও রহমত লাভ করবে, অতীতের সকল পাপাচার থেকে ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে ঈমানী জিন্দেগীর উত্তাপ গ্রহণ করবে, তাকওয়ার অনুশীলনের মাধ্যমে পুরো বছরের ইবাদত ও ইতাআতের শক্তি সঞ্চয় করবে, চিন্তা-চেতনা ও কর্ম-সাধনায় আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সমর্পিত করবে-এই হচ্ছে মুমিনের আনন্দ। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র মাসকে যেসব গুণ ও মর্যাদা দ্বারা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন, যত রহমত, বরকত এবং দয়া ও অনুগ্রহ দ্বারা একে মহিমান্বিত করেছেন, এ মাসের নেক আমলগুলোর যত সওয়াব ও প্রতিদান নির্ধারিত করেছেন তার হিসাব-নিকাশ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে এবং হাদীস শরীফের বিস্তৃত বর্ণনায় যে গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট বর্ণিত হয়েছে, তার কিছু দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করব। আল্লাহ তাআলা সবাইকে উপকৃত করুন। আমীন। ১. সিয়ামওকিয়ামেরমাস মুসলিম উম্মাহর নিকট রমযান মাসের আগমন ঘটে প্রধানত রোযা ও তারাবীহ’র বার্তা নিয়ে। এটি রমযান মাসের বিশেষ আমল। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য, পূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে এ দুই বিষয়ে যত্নবান হওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী (মুত্তাকী) হতে পার।-সূরা বাকারা (২) ১৮৩- অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন, فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমযান) পাবে, সে যেন অবশ্যই তার রোযা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে।-সূরা বাকারা-১৮৫ হযরত আবু হুরায়রা রা বলেন, لما حضر رمضان، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : قد جاءكم رمضان، شهر مبارك، افترض الله عليكم صيامه، تفتح فيه أبواب الجنة، وتغلق فيه أبواب الجحيم، وتغل فيه الشياطين، فيه […]

জুনিয়ার হাই স্কুল থেকে বাধ্যতামূলক ইংরেজি শিক্ষা চালু করা হচ্ছে

জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে হাই স্কুল শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধির নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে জাপানের জুনিয়ার হাই স্কুল গুলোতে বাধ্যতামূলক ভাবে ইংরেজির দক্ষতা পরীক্ষা চালু করা হবে। বর্তমানে কৌশলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজির দক্ষতা বাড়ছে খুবই ধীর গতিতে, মন্ত্রণালয় মনে করছে এখন নতুন করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। মন্ত্রণালয় এ জন্যে নতুন পরীক্ষা গ্রহণকে অপরিহার্য বলে ধারণা করছে। এ ছাড়াও মন্ত্রণালয় প্রিফেকচারাল শিক্ষা বোর্ড গুলোকে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য সামনে রেখে তাদের নিজস্ব কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য প্রিফেকচার এবং স্থানীয় প্রতিযোগীতায় প্রকাশ করা হবে। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় পড়া, লেখা, শোনা এবং কথা বলা মূল্যায়ন করার উপযোগী করা হবে। সেই সাথে শিক্ষকদেরকেও ইংরেজি ভালো মতো শিক্ষা দেয়ার উপযোগী করে তুলতে সহায়তা করা হবে।

প্রবীণদের টোকিও থেকে সরিয়ে নিতে উৎসাহ করার পরিকল্পনা

জাপানের একটি বেসরকারি থিঙ্কট্যাঙ্ক টোকিও মেট্রোপলিটান এলাকা থেকে প্রবীণ জনগনকে সরিয়ে নেয়ায় উৎসাহিত করতে বৃহস্পতিবার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজধানী টোকিও’তে প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সীমিত মেডিকেল ও নার্সিং সেবা খাতকে ক্রমাবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জাপান সরকার রাজধানী টোকিও, চিবা, কানাগাওয়া, সাইতামা’র মতো স্থান গুলোতে প্রচুর প্রবীণ জনসাধারণ বসবাস করার চেয়ে তাদেরকে গ্রামাঞ্চলে সরিয়ে নেয়াকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনার মাঝেই জাপান পলিসি কাউন্সিল তাদের এই সুপারিশ করলো। “সম্ভাব্য ভূমিকম্প জনবহুল এই অঞ্চলে বড় ধরণের ঝুঁকি বহন করছে, সেই সাথে প্রবীণরাও ঝুঁকির সৃষ্টি করছেন” সাবেক আভ্যন্তরিন এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিরোইয়া মাসুদা বলেন। মাসুদা এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রধান।