‘বিশ্বের সংবাদ’

বাংলাওয়াশের আবহ মিরপুরে

প্রায় এক সঙ্গে দু’দল এসেছে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, পাশাপাশি করেছে অনুশীলন। তবে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে খেলোয়াড়রা যতোটা প্রাণবন্ত, বিপরীতে উৎকণ্ঠায় ভারত শিবির! এক বছর আগে সেরা ৭ জনকে রেখে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়ে ২-০তে জয়ে হাসতে হাসতে যারা ফিরেছে দেশে, এক বছর পর দৃশ্যপটে পরিবর্তন! পুঁচকে এক বোলারে (মুস্তাফিজুর) ছিন্নভিন্ন ভারত এখন ০-২-এ পিছিয়ে বাংলাওয়াশ আতঙ্কে আতঙ্কিত!  জিম্বাবুয়েকে ৫-০ তে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে অন্য এক বাংলাদেশের আবির্ভাবের জানান দিয়ে হোমে দুর্বার হয়ে উঠেছে। সিরিজ জয়েও তৃপ্ত নয় হাতুরুসিংহের শিষ্যরা।  পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়হীন ১৬ বছর কাটানোর জ্বালা জুড়াতে ওই প্রতিপক্ষকে ৩-০তে বাংলাওয়াশ কাব্য রচনা করে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম সিরিজ জয়কে বাংলাওয়াশে রূপ দিয়েই উৎসবের প্রত্যয় মাশরাফিদের। তা হলে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক অনন্য রেকর্ডটাও যে হয়ে যাবে বাংলাদেশের। ১৮তম সিরিজ জয়কে একাদশতম বাংলাওয়াশে পরিণত করার সে আবহই এখন মিরপুরে। যা ভারতকে ১৯তম হোয়াইট ওয়াশের সামনে রেখেছে দাঁড়িয়ে! এই মিরপুর দিয়েছে বাংলাদেশকে অনেক কিছু।  ভেন্যুর অভিষেক সিরিজে স্কটল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ দিয়ে শুরু, ২০১০-এ নিউজিল্যান্ড, ২০১৩ তে পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও আর একটি হোয়াইট ওয়াশের ইতিহাস রচনার হাতছানি। বাংলাওয়াশের হ্যাটট্রিক পূরণে তাই সংকল্পবদ্ধ এখন বাংলাদেশ দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে প্রত্যয়ী কণ্ঠ নাসিরের মুখেÑ ‘উপর্যুপরি সিরিজ পাকিস্তান সিরিজ আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ওইটা ভারতের বিপক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমরা  যে যেমন, সে যদি সেভাবে খেলতে পারি, তবে আশা করি ভারতকে হারাতে পারবো।’ ২-০তে এগিয়ে থেকে শেষটা ও একই ভাবে করতে কতোটা প্রত্যয়ী, ড্রেসিংরুমের সে বার্তাই মিডিয়াকে জানিয়েছেন নাসিরÑ ‘ড্রেসিংরুমে  কথা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা যদি ২টি ম্যাচ হারতাম তাহলে আমাদের কেমন প্রেসার থাকতো, কীভাবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতাম আমরা। অবশ্যই যেনো সেভাবে জেতার জন্যই খেলি। সবাই যেন সিরিয়াস থাকে। বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেয়া যাবে না।’ সব হারিয়ে শেষ ম্যাচে ভারত সান্ত¦না নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলবে, তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই বাংলাদেশ দলকে। মেলবোর্ন অবিচারের জবাব দিতে ভারতের উপর ক্রিকেটিং আক্রোশ এতোটাই চালিয়েছে, ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের সে তত্ত্ব উপস্থাপনের আর একটি ক্ষেত্র আজ। এমনটাই জানিয়েছেন র‌্যাংকিংয়ে ৮৮ থেকে ৯৩ পয়েন্টে উঠে, ৭ নম্বর পাকাপোক্ত করা বাংলাদেশ দল। নাসির সেই প্রত্যয়ের কথাই শুনিয়েছেনÑ ‘ভারত আমাদের উপর তাদের সর্বোচ্চ আক্রমণ করতে হয় এটা আমরা জানি। কে কি পরিকল্পনা করে আমাদের উপর আক্রমণ করলো এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা কি করছি সেটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই আলাদা আলাদা রোল আছে আমরা নিজেদের রোলটুকু মাঠে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। দলের চিন্তা-ভাবনা আসলে তেমন কিছু না। চেষ্টা থাকবে ম্যাচটি জেতার। আমরা জেতার জন্যই খেলবো এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গত বছর নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৪ এ হারের পর হোচট খেতে হয়নি ভারতকে। […]

আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ

৯১ দিন এক অসহনীয় যন্ত্রণা আর ক্ষোভের আগুন বুকে নিয়ে অবিচারের প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন একাত্ম হওয়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আইসিসির চেয়ারম্যান ভারতের শ্রীনিবাশনের সহযোগিতায় আম্পায়ারদের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে হারিয়েছিল ভারত। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ মার্চ। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা বাংলাদেশ। মানুষের চোখের পানিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল ৫৫ হাজার বর্গমাইলের দেশটির। সেদিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে একাত্ম হয়ে যান বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বাংলাদেশের মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে স্বাধীনতার জন্য সবাই মিলে একাত্ম হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো এই ক্রিকেট ইস্যুতে আবারো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ একাত্ম হয়ে শুধু অপেক্ষায় ছিলেন ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচের প্রতিশোধ নেবার নেশায়। অবশেষে ৯১ দিনের মাথায় স্বপ্নপূরণ হল বাংলাদেশের মানুষের। মেলবোর্ন অবিচারের সমূচিত জবাব পেয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই টাইগারদের কাছে কুপোকাত তারা। জয়ের নয়, প্রতিশোধ নেয়ার আনন্দের জোয়ারেই এখন ভাসছে সারা বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি প্রাপ্তি ছিল প্রতিশোধের মাধ্যমে ৯১ দিন বুকে লালন করা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত হওয়া। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে একেবারে সহজেই উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতে টাইগাররা শুধু ভারতকেই নয় পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই জানিয়ে দিলো, বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখাটাই যে এখন ক্রিকেট ব্যাকরণের সবচেয়ে বড় ভুল। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই সিরিজ জয়ে আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশের মানুষ। এর আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তান দলকে হোয়াইট ওয়াশ করলেও ঐ দুটি দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন ছিল না বাংলাদেশের দর্শকদের মনে। সবাই অপেক্ষায় ছিলেন শুধু ভারতকে ধরাশায়ী করার প্রত্যাশায়। পবিত্র রমজান মাস থাকায় ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে স্বভাবসুলভ উল্লাস প্রকাশ করতে না পারলেও ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের বন্যা। ঘরে বাইরে অফিস আদালতে সর্বত্রই একই আলোচনা বাংলাদেশের ভারত জয়। খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দর্শকরা খ- খ- আনন্দ মিছিল বের করে স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দর্শকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেছেন শুধু এক এবং অভিন্ন আওয়াজে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের রাতের আঁধারও আলোকিত হয়ে যায় উৎসবের আনন্দে। ঢাকার বাইরেও সারা দেশে চলে আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে এক হয়ে অতীতে আর কখনোই এভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের দর্শকদের মনে যে ভারত সম্পর্কে কতটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের ক্ষুদে দর্শক অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের টেন গ্রেডের ছাত্র লাবিব জোহায়ের হোসেনের মন্তব্যে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে লাবিব মন্তব্য করে, ‘ভবিষ্যতে যতবারই বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ হবে, তাতে যদি ভারত আম্পায়ারদেরকে ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়লাভ করাটা খুবই কঠিন হবে।’ উল্লেখ্য, লাবিব […]

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে টাইগাররা

ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয়। লক্ষ্য মাত্র ১৯৯ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট।  দরকার একশ’ রানেরও কম। তাই গ্যালারির দর্শকরা হৈ হুল্লোড় করতেই পারেন। কেননা তারা যে ইতিহাসের সাক্ষি হচ্ছেন। তামিম ১৩ ও সৌম্য ৩৪ রানে আউট হলেও সাকিব ও মুশফিকের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় তিন ওভার কমিয়ে ৪৭ ওভারে খেলা নির্ধারণ করা হয়।  তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। বল হাতে ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস কথা বলেছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পক্ষে। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ধোনি। তবে এটি যে ভুল সিদ্বান্ত ছিল, তার প্রমাণটা দিলেন আগের ম্যাচের হিরো মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শুন্য হাতে ওপেনার রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর। ফলে শুরুতেই চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে চালকের আসন থেকে সড়াতে তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলিকে নিয়ে রান তোলায় মনোনিবেশ করেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্রুতই সেট হয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন দু’জনে। ফলে কিছুটা লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। কিন্তু এতেও যে হাল ছেড়ে দেবার দল, এখন আর নয় বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় উইকেটে দলের জন্য ৭২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি ধাওয়ান-কোহলি। অকেশনাল বোলার দিয়েই ধাওয়ান-কোহলি জুটি ভাঙ্গেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ২৩ রান করে নাসিরের বলে আউট হন কোহলি। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে উঠিয়ে এনে ধাওয়ানের সাথে ক্রিজে যোগ দেন দলপতি ধোনি। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়া। সে পথে ভালোই হাটচ্ছিলেন তারা। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন ধাওয়ান। এই জুটিও যখন ভংকর হবার পথে, আবারো বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দেন নাসির। ৭টি বাউন্ডারিতে ৬০ বলে ৫৩ রান করা ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান নাসির। ধাওয়ানের বিদায়ের পরের ওভারেই আবারো উইকেট শিকারের আনন্দ করে বাংলাদেশ। আজিঙ্কা রাহানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া আম্বাতি রাইদুকে তিন বলের বেশি খেলতে দেননি রুবেল হোসেন। নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে তাই শুন্য হাতেই ফিরতে হয় রাইদুকে। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকঁতে থাকা ভারতকে এরপর সামনের দিকে টেনে নিয়ে নেন ধোনি ও সুরেশ রায়না। কিছুটা সময় নিয়ে উইকেটে ভালোভাবেই সেট হয়ে যান তারা। ফলে ধীপা হলেও স্কোর বোর্ডে রান আসছিলো ভারতের। তবে সেটি যে খুব বেশি না, তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন ধোনি ও রায়না। বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত-বৈচিত্র্যময়-অসম্ভব সুন্দর বোলিং কারিশমায় রান তোলা কি সম্ভব? উত্তরটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেয়ার আগেই বল হাতে দিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর। উত্তরটা হলো- ‘না’। ৩৬তম ওভারে বল করতে এসে ৪২ ওভার পর্যন্ত ভারতের চার ব্যাটসম্যানকে […]

পবিত্র রমজানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বুধবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রমজান উপলক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন তার বাণীতে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নিজেদের বিশ্বাসের ভিতকে শক্ত করতে এই সময় ব্রিটেন এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে পরিবার-পরিজন একত্রিত হয় সংযমে এবং একাগ্রতায়। এটি আমাদের কমিউনিটি, পরিবার এবং ইসলামী এবং ব্রিটিশ মূল্যবোধগুলিকে মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন,আমি প্রত্যাশা করি তারা সবাই এবং ব্রিটেনের সব মানুষ- রমজানের সার্বজনীন মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাবে এবং এই দেশ গড়ে তোলায় ব্রিটিশ মুসলমানদের অবদানকে স্বীকৃতি দেবে। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।  

মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপরণের পর হত্যা এবং ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবীসহ গণহত্যার ষড়যন্ত্র ও ইন্ধনের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ওই দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিল বিচারিক আদালত। একই রায় এসেছিল সপ্তম অভিযোগে, ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে হত্যা-নিযার্তনের ঘটনায়। আপিল বিভাগের রায়ে প্রথম অভিযোগে আসামির আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সপ্তাম অভিযোগে তার সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ষষ্ঠ অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। পঞ্চম অভিযোগে সুরকার আলতাফ মাহমুদ, গেরিলা যোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালাল, শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছেলে শাফি ইমাম রুমি, বদিউজ্জামান, আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদসহ কয়েকজনকে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে আটকে রেখে নির্যাতন এবং জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদকে দেয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আপিল বিভাগের রায়ে সেই সাজাই বহাল রাখা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তৃতীয় অভিযোগে ফরিদপুর শহরের খাবাসপুরের রণজিৎ নাথকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মুজাহিদকে। ওই সাজা তার প্রাপ্য বলে আপিল বিভাগও মনে করেছে। এছাড়া দ্বিতীয় অভিযোগে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হিন্দু গ্রামে গণহত্যা এবং চতুর্থ অভিযোগে আলফাডাঙ্গার আবু ইউসুফ ওরফে পাখিকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও তাতে মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে খালাস দিয়েছিল। এ কারণে এ দুটি অভিযোগ আপিল বিভাগের রায়ে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে  মুজাহিদ হলেন চতুর্থ ব্যক্তি, আপিল বিভাগে যার মামলার নিষ্পত্তি হল।

প্রধানমন্ত্রীকে ইফতারের দাওয়াত দিলেন খালেদা জিয়া

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ইফতারের দাওয়াত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে রাজনীতিবিদদের সম্মানে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করীম শাহিন। আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সাংসদ মৃণাল কান্তি ও সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল মজিদ কার্ডটি গ্রহণ করেন।  

শেখ হাসিনার পড়তি ইমেজ ঠেকাতে গিয়েছিলেন মোদী: কুলদিপ নায়ার

 ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাবেক কূটনীতিক কুলদিপ নায়ার। ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় তিনি বিশ্লেষণ করেছেন নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর। তিনি লিখেছেন, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরটি হয়েছে অসময়ে। দেখে মনে হয়েছিল, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পড়তি ইমেজ ঠেকাতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। তিনি সেখানে কেবল ভারত-বিরোধী অনুভূতিকেই আরও তীব্রতর করে তুলেছেন। কেননা, নয়া দিল্লিকে নিরপেক্ষ হিসেবে মনে হয়নি।কুলদিপ নায়ার লিখেছেন:আমি জানি না কেন, এবং কতদিন ধরে আমাদেরকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনকে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। এটা সত্য যে, তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। শেখ মুজিব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করেছেন। কিন্তু এ পরিচয়ের কারণেই হাসিনা সংবিধান ও প্রচলিত নিয়মনীতিকে অবজ্ঞা করার অধিকার পেতে পারেন না। একটি উদাহরণ দেখুন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক হারে বাক্সে ব্যালট পেপার ঢোকানো হয়েছে। ভোটার ও অন্যান্যদের কাছে চিত্রটি ভয়াবহ হয়ে ধরা দেয়। শেখ মুজিব নিশ্চিতভাবে তার কবরে ঘুমিয়ে পড়ছেন। তিনি রাওয়ালপিন্ডির সামরিক জান্তা শাসকদের বিরুদ্ধে মানুষের আত্মপ্রকাশের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ক্রমবর্ধমান মৌলবাদী প্রভাবের বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষ অক্ষকে শক্তি জুগিয়েছে ঢাকায় মোদীর সফর। কিন্তু হাসিনা এরপরও নিজের জন্য কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করতেনই। প্রকৃতপক্ষে, যে দাম্ভিক উপায়ে নিজের চারপাশের ভিন্নমত তিনি দমন করেছেন, তাতে তার ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে সন্দেহ জন্মে। মুক্ত রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক পথে শাসনের প্রতি কি তার কখনই দৃঢ় আস্থা ছিল? এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে, তিনি যে উপায়ে বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেনকে অপদস্থ করেছেন, সেটি। কামাল হোসেন তার বাবা শেখ মুজিবের একজন সহকর্মী। সারাজীবন ধরে নীতি আঁকড়ে থাকার কারণে তিনি একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করাটা ছিল একটি হঠকারী কাজ। তবে এটিও সত্য যে, হাসিনা এটি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি যেকোনো কিছু করতে পারেন। তারপরও, বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করতো, তাহলে এর সামান্য কয়েকজন প্রার্থী হলেও জিতে আসতো। এর ফলে মানুষের সামনে হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা তারা করতে পারতো।নিঃসন্দেহে, সাধারণ নির্বাচন শাসকদের ভাগ্য নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, এর মাধ্যমে যাচাই করা যেত, নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যেসব প্রতিশ্রুতি শাসক দল দিয়েছে, তা তারা পূরণ করতে পেরেছে কিনা। ভারত অনেক ভাগ্যবান। কারণ, যেভাবে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দেশকে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ করে গেছেন, তা এখনও কায়মনোবাক্যে অনুসরণ করা হয়। কিন্তু তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী গণতন্ত্রকে কক্ষচ্যুত করেছিলেন। তিনি কেবলমাত্র গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই করেননি, অনেক মৌলিক অধিকারকেও বাতিল করেছিলেন। কিন্তু মানুষ বিষয়গুলোকে ভালোভাবে নেয়নি। নির্বাচনে মানুষ নিজেদের দমিত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল। এটা অভাবনীয় ছিল যে, এমনকি মহান ইন্দিরা গান্ধীও পরাজিত হতে […]

কৈ ভয়ংকর মাছ!

কৈ মাছ খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পাওয়া কঠিন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে একেবারেই অপরিচিত কৈ মাছ। সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ায় কৈ মাছ চাষের প্রকল্প হাতে নেয়া হলে সেখানকার বিশেষজ্ঞরা কৈ চাষের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, কৈ মাছ খুবই ভয়ঙ্কর একটি মাছ। কৈ মাছের কারণে বিপন্ন হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু প্রজাতির প্রাণী। তাদের যুক্তি—কৈ মাছ বিশেষ পদ্ধতিতে জল-স্থল উভয় জায়গাতেই বেঁচে থাকতে পারে। খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারে মাটির উপর দিয়ে। মাটির উপর দিয়ে চলার সময় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের  ওপর হামলা করতে পারে কৈ মাছ। এছাড়া কোন প্রাণী ভুল করে কৈ মাছ খেতে গেলেও গলায় আটকে মারা যেতে পারে সেটি। কারণ কৈ মাছের শরীরের দুই পাশেই রয়েছে ধারালো পাখনা।-

সূর্যের মালিকানা দাবি, মামলা

জ্বলন্ত নক্ষত্র সূর্যে পৌঁছানোর কথা এখনো পর্যন্ত কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। অথচ সেই সূর্যের একাংশের মালিকানা দাবি করেই সূর্যে প্লট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন স্প্যানিশ নারী মারিয়া ডুরান। তবে ই-কমার্স জায়ান্ট ই-বে বিজ্ঞাপনটি তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করলে বেঁকে বসেন ঐ নারী। রীতিমতো মামলা ঠুকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। দেশটির গ্যালিসিয়ার বাসিন্দা ডুরান সূর্যে জমির মালিকানার বৈধতা দাবিতে দেশের এক নোটারি অফিসে সূর্যের একাংশ নিজের নামে লিখে নিয়েছিলেন। এরপরই তিনি ইন্টারনেটভিত্তিক বিপণন প্রতিষ্ঠান ই-বে তে বিজ্ঞাপন দেন সূর্যে জমি বিক্রির। দুই বছর বিজ্ঞাপনটি ওয়েবসাইটে ছিলো। এই দুই বছরে প্রতি বর্গমিটার দুই ইউরো মূলে মোট ১২০০ ইউরো আয় করেন তিনি। তবে ই-বে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এরপর ১০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন মারিয়া।

৩১ জুলাই থেকে ছিটমহল বিনিময়

আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ছিটমহল বিনিময়।  সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এরআগে গত ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রটোকল সই হয়। গত শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের সংশ্লিষ্টরা এই প্রটোকলে সই করেন। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন। এ সময় ওই চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যপদ্ধতি সম্বলিত পত্রও বিনিময় করা হয়। এর আগে ৬ মে  ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত বিলটি (১১৯তম সাংবিধানিক সংশোধনী) পাস হয়। রাজ্যসভায় বিলটি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিলটি ৭ মে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়  পাস হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানান। দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতীয় ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে। ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকার কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসাবে ৬৮ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন। শুরু থেকে আপত্তি করে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও নানা চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল বাস্তবায়িত হলে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়ার পাশাপাশি সীমান্তে আসবে শান্তি। ছিটমহলের বাসিন্দাদের গত সাত দশকের মানবিক সংকটের অবসান ঘটবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ হবে তাদের। একই সঙ্গে খুলবে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত। দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করাই এই স্থল সীমান্ত চুক্তির লক্ষ্য। সাড়ে ৬ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানা চিহ্নিত করা হবে। ছিটমহলগুলোর মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি (৭ হাজার ১১০ একর জমি) এবং বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি (১৭ হাজার ১৬০ একর) জমি বিনিময় হবে। অপদখলীয় জমির মধ্যে মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অধীন সীমান্তে ২০০০ একর জমি এবং আসামের ২৬৮ একর জমির অধিকারী হবে বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত সমস্যার সমন্বিত সমাধানে পৌঁছার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১৯৫৮ […]