‘জাপান’

ইউনেস্কো হ্যারিটেজ মর্যাদা পেলো মেইজি শিল্প বিপ্লব সাইট

ইউনেস্কো’র একটি প্যানেল কয়েকটি শিল্প এলাকার সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি শিল্প সাইটের গ্রুপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। রোববার জার্মান শহর বন এ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৮টি প্রিফেকচারের ২৩টি সাইটকে এর ভেতর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব সাইট গুলো জাপানের শিল্প বিপ্লবের গোড়ার দিককার স্থান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে মেইজি সময়ে জাপানের যে শিল্পয়োন্নয়্ন ঘটে এসব স্থান গুলো সেগুলোর সাক্ষী বহন করে চলেছে। প্যানেল স্বীকার করে সাইট গুলো একটি অ-পশ্চিমা দেশে পশ্চিম থেকে শিল্পায়নের প্রথম সফল বিস্তার। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমন্বয় জটিল হয়ে ওঠায় চুড়ান্ত আলোচনা রোববার পর্যন্ত একদিনের জন্য স্থগিত করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা দাবি করেন কোরিয়ানদেরকে এসব সাইট গুলোকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আনা হয়েছিলো। দক্ষিণ কোরিয় সরকারের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদেরকে বলেন প্যানেলের চুড়ান্ত বৈঠকে তারা জাপানের সাথে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

হাশিমাঃ পরিত্যাক্ত এক দ্বীপের কথা

দক্ষিণ জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যাক্ত দ্বীপ হাশিমা যা গুনকানজিমা (রণতরী দ্বীপ) নামেই পরিচিত -শিল্পন্নোত জাপানের ইতিহাস যেন সে তুলে ধরছে। দ্বীপটি এখন নাগাসাকি প্রিফেকচারের ৫০৫টি বসতিহীন দ্বীপের একটি। দ্বীপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিত্যাক্ত এবং নির্বিঘ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কংক্রিট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গুলো ও তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্র প্রাচীর। দ্বীপটি সমুদ্রতলদেশীয় কয়লা খনির জন্যে এক সময় সুপরিচিত ছিলো, ১৮৮৭ সালে কয়লা খনির কাজ শুরু হয় -যা জাপানের শিল্পায়নের সময় পরিচালিত হতো। ১৯৫৯ সালে ৬.৩ হেক্টর (১৬ একর) দ্বীপটির জনসংখ্যা শিখরে ওঠে, এ সময় জনংখ্যা ছিলো ৫,২৫৯ জন। কয়লা খনিটি ১৯৭৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার অল্প পরেই দ্বীপবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক গুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে বাইরের ধসে পড়া দেয়ালের কোনো কোনো অংশকে আবার মেরামত করা হয়েছে। কিছু মানুষের আগ্রহে চলতি শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসে এবং ধীরে ধীরে তা পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যটকদের জন্যে দ্বীপটি খুলে দেয়া হয়। এখন দ্বীপটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার জন্যে ইউনেস্কোর বিবেচনায় রয়েছে। ১৮৮৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কয়লা খনি থাকাকালীন দ্বীপটিতে মানববসতি ছিলো। দ্বীপটির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন ছিলো নাগাসাকির শহরের। জাপানের শিল্পোন্নয়নের সময় কয়লা খনির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিশি দ্বীপটি কিনে নেয় এবং তার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের সমুদ্রতলদেশীয় খনি থেকে কয়লা আহরণের পরিকল্পনা ছিলো। খনির জন্যে শ্রমিক আনা হয় জাপানি উপনিবেশ গুলো থেকে। সেখানেই জাপানের সর্বপ্রথম সুউচ্চ কংক্রিট অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, উচ্চতা ছিলো ৯তলা। এটি নির্মিত হয় ১৯১৬ সালে। কোম্পানির কর্মীরা এখানে থাকতেন। তাইফুন থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু প্রাচীর। ১৯৩০ এর দশকে অনেক চীনা ও কোরিয়ানকে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে এখানে আনা হয়েছিলো। ১৯৬০ এর দশকে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে জাপান থেকে কয়লার ব্যবহার কমতে থাকে। হাশিমা’রও একই অবস্থা। মিৎসুবিশি ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়লা খনি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, আজকে দ্বীপটি জনশূন্য। ৩৫ বছর পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল আবার তাতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়।

গ্রীষ্মে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাচ্ছেন

এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্যটনে যাচ্ছেন। বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ জাপানে ও জাপানের বাইরে পর্যটনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন সংস্থা জেটিবি বলেছে জুলাইয়ের ১৫ থেকে অগাষ্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ০.১ শতাংশ। জেটিবি’র তথ্যানুসারে ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ জাপানের ভেতরেই থাকছেন -যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে ০.২ শতাংশ। মানুষের সবচেয়ে পছন্দের স্থান হচ্ছে হোকুরিকু অঞ্চল। এ বছর সেখানে নতুন শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের লাইনও চালু হয়েছে। এ ছাড়াও শীর্ষে রয়েছে ইসে-শিমা আগামী বছর যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে বিদেশে পর্যটনে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এবার ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষে, এর মূল কারণ দুর্বল ইয়েন।

মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে এলডিপিকে আবের আহ্বান

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দলের এক নির্বাহী বৈঠকে তার দল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা পরিস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের জুনিয়ার আইনপ্রণেতারা গত সপ্তাহে মিডিয়ার উপর আক্রমনাত্বক বক্তব্য রাখার সূত্র ধরে সোমবার আবে এলডিপি মহাসচিব সাদাকাজু তানিকাগি’কে এ নির্দেশ দেন। জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের আয়োজিত এক সমীক্ষা বৈঠকে সরকারের সমালোচনাকারী মিডিয়া গুলোর নিন্দা জানানো হয়, তাদের মতে মিডিয়া গুলো পক্ষপাত দুষ্ট। একজন আইনপ্রণেতা বলেন বিজ্ঞাপন আয় বন্ধ করে দিয়ে এ সব পত্রিকা গুলোকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া উচিত। তানিগাকি আবে’কে জানান দল সমীক্ষা বৈঠকের আয়োজক সদস্যকে পদচ্যুত করেছে। আবে বলেন, এলডিপি’র অনেক সাবেক কর্মীকে ওকিনাওয়ার জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন জুনিয়ার আইনপ্রণেতাদের মন্তব্য সত্যিই খুব দুঃখজনক যা ওকিনাওয়াবাসীদের অনুভূতির বিপক্ষে যায়। আবে বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি এবং এলডিপি যে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে তা অবশ্যই পরিস্কার ভাবে করে দেখাতে হবে।

চীনের উত্থান জাপানের কাছে অসহ্য লাগছেঃ চীন

জাপানের জনগন চীনের উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না আর আসলে সেটিই হচ্ছে দু’দের মধ্যেকার সম্পর্কোন্নয়নের পথে মূল বাধা -চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও টোকিওতে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত শনিবার এ কথা বলেন। সাইনো-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে চীন যা দেখতে পাচ্ছে তা হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঔপনিবেশিকতার প্রায়শ্চিত্ত করতে ব্যর্থতা। জাপান ও চীন দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়ে সাম্প্রতিক দিন গুলোতে তিক্ত সম্পর্ক অতিবাহিত করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইই একটি শিক্ষা ফোরামে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন চীন চায় জাপানের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক। “কিন্তু প্রশ্ন ওঠে একটি বিষয়েই- জাপান কি তার বৃহত্তম প্রতিবেশী চীনের উন্নয়ন এবং উত্থানকে মেনে নিতে ও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে?” ওয়াং বলেন। “চীনের উন্নয়ন ইতিমধ্যেই জাপানকে অনেক সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু পারস্পরিক ভাবে আমার মনে হয় না জাপানের পক্ষ থেকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আমার মনে হয় এটাই চীন ও জাপানের মধ্যেকার অনেক ইস্যুর মূল কারণ” তিনি বলেন। ওয়াং বলেন, এক ভালো জাপানি বন্ধু তাকে বলেছিলেন চীন এখন জাপানের অবস্থানে চলে গেছে যেই স্থানটি ঐতিহাসিক ভাবে জাপানের ছিলো “সুতারাং আমাদের জাপানিদেরকে এই বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিতে হবে”। গত বছর জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং’য়ের সাথে বৈঠকের পর দীর্ঘদিন পরে দু’দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। তবে এ বছর চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পূর্তী উপলক্ষ্যে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে যা দু’দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাকে পুনরায় নাড়া দিতে পারে।

গিনেজ বুকে নাম ওঠালো জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন

জাপানের ম্যাগলেভ ট্রেন ঘন্টায় ৬০৩ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিনেজ বুকে বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের খাতায় নাম উঠিয়েছে। ম্যাগলেভ ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা মধ্য জাপান রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে গিনেজ বুক রেকর্ড গত বৃহস্পতিবার ম্যাগলেভ ট্রেনের গতিকে তাদের এই স্বীকৃতি প্রদান করে। টোকিওর পশ্চিমে ইয়ামানাশি প্রিফেকচারে গত এপ্রিলে পরীক্ষামূলক যাত্রাকালে ম্যাগলেভ ট্রেন এই রেকর্ড সৃষ্টি করে। আগে ২০০৩ সালে তারা ঘন্টায় ৫৮১ কিলোমিটার বেগে ম্যাগলেভ ট্রেন চালিয়ে আগের বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন। কোম্পানি জানিয়েছে তারা গিনেজ বুকের স্বীকৃতিতে খুবই আনন্দিত। তারা প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। পরিকল্পনা অনুসারে ২০২৭ সাল থেকে টোকিও হতে নাগোয়া পর্যন্ত ম্যাগলেভ ট্রেন সার্ভিস শুরু হবে।

টয়োটার সদর দফতরে পুলিশের অভিযান

জাপানের টয়োটা সিটিতে অবস্থিত টয়োটা মোটর কর্পোরেশনের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। একই সাথে রাজধানী টোকিওর টয়োটা দফতরেও অভিযান চালানো হয়। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, জাপানে নিষিদ্ধ একটি দ্রব্য আমদানি করেছেন এমন সন্দেহে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিক জুলি হ্যাম্পকে গ্রেফতারের পর অভিযান চালানো হয়। হ্যাম্পকে সম্প্রতি টয়োটার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের নামে ব্যথানাশক ৫৭টি অক্সিকোডন ট্যাবলেট একটি প্যাকেটে করে পাঠিয়ে ছিলেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘নেকলেস’। অক্সিকোডন মাদকজাতীয় পেইন কিলার। টয়োটার দফতরে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ কী খোঁজ করছে তা পরিষ্কার নয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে একজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর সেখানে অভিযান চালানো একটি নিয়মিত বিষয়।

জাপান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল

গত ২১ জুন ২০১৫ রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা দলের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ আলচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই সংগ্রামী দলের গোড়াপত্তন হয়। “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ” নাম নিয়ে শুরু হলেও পরে “নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই দলটির প্রতীক নৌকা। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাজনৈতিক দলটির নামকরণ করা হয় “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ”। সংগঠনের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আলচনা পর্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনের “রোজ গার্ডেন প্যালেস” এ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গীয় প্রদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পর্ব থেকে আজ অব্দি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলচনা করেন- মোতালেব শাহ আইয়ুব প্রিন্স, আব্দুল কুদ্দুস, রহমান লিটন, সোহেল রানা, ফারুক আহমেদ, গোলাম মাসুম, কাজী ইনসানুল হক, রায়হান কবির ভুঁইয়া সুমন, মুক্তা চৌধুরি, মোল্লা ওয়াহিদ, মাসুদুর রহমান, হারুনুর রশিদ, সনত বড়ুয়া। ইফতার ও নামাজের শেষে উপস্থিত প্রবাসীরা নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। রাতে সুস্বাদু নৈশ ভোজে সকলকে আপ্যায়িত করা হয়।

টোকিওতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

মায়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একদল বিক্ষোভকারী শনিবার টোকিওতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার ছিলো জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শরণার্থী দিবস। প্রায় ৪০ জন রোহিঙ্গা বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে জাপানে বাস করছেন। তারা দক্ষিণ-এশিয়াতে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান। অ‌্যাসোসিয়েশন অফ রোহিঙ্গা রেসিডেন্টস অফ জাপান’র প্রধান আন টিন বলেন, মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে এর জন্যে সহায়তা কামনা করেন। মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা সম্প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মানব পাচারের শিকার হয়ে এসব রোহিঙ্গারা সাগর পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করছে। থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়াতে প্রচুর রোহিঙ্গার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসে থাইল্যান্ডে সাগরে আটকে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা করার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো হয়। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ। তারা দাবি করে এরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী।

আওমোরিতে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

উত্তর-পূর্ব জাপানে সোমবার বিকেল ৩টা ১ মিনিটে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে কারো হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিলো আওমোরি প্রিফেকচারের হাচিনোহে’র ১৩২ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্বে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো মাটির ৮০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় আওমোরি ছাড়াও হোক্কাইদো, ইওয়াতে, মিয়াগি, আকিতা, ইয়ামাগাতা সহ উত্তর-পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে।